প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২৪, ০৭:০১ পিএম
রমজানে প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে চিনি, ছোলা ও সয়াবিন তেল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ২১৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে পৃথক এসব প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
অর্থ উপদেষ্টা জানান, চাল-ডাল ছোলাসহ অত্যাবশ্যকীয় কোনো পণ্যের দাম বাড়তে দেয়া যাবে না, যাতে মানুষের কষ্ট হয়। রমজান সামনে রেখে চিনি, ছোলা এবং তেল আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এরপর খেজুরও আমদানি করা হবে।
বৈঠকসূত্রে জানা যায়, ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের মাঝে স্বল্পমূল্যে বিক্রির জন্য ৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি, ১০ হাজার মেট্রিক টম ছোলা ও ৩২ লাখ ৬০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ২১৫ কোটি ৬৪ লাখ ৯ হাজার টাকা।
স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৫ হাজার টন চিনি ক্রয়ের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে দুটি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। দুটি দরপ্রস্তাবই আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি থেকে সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এই চিনি সরবরাহ করবে।
প্রতিকেজি ১২০.৯২ টাকা হিসেবে মোট ব্যয় হবে ৬০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এই চিনি ২০২৫ সালের রমজান মাসে বিক্রয় করা হবে।
এছাড়া স্থানীয়ভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ৩২ লাখ ৬০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ের জন্য স্থানীয় প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা মাল্টি ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব চাওয়া হলে প্রতিষ্ঠানটি প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৬৩.২৫ টাকায় দরপ্রস্তাব দাখিল করে।
দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি থেকে নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশকৃত প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৩২ লাখ ৬০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ে ব্যয় হবে ৫৩ কোটি ১৮ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। প্রতি লিটারের দাম পড়বে ১৬৩.১৫ টাকা।
এদিকে রমজান মাসে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে ১০ হাজর মেট্রিক টন ছোলা কেনার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এর ক্রয়মূল্য হবে ১০১ কোটি ৯৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা। প্রতি কেজির দাম পড়বে ১০৭ টাকা ৩৯ পয়সা।
এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার ডিএসএল প্যাসিফিক প্রাইভেট লিমিটেড থেকে কেনা হবে ৪ হাজার মেট্রিক টন ছোলা। আর মেসার্স অস্ট-গ্রেইন এক্সপোর্ট প্রাইভেট লিমিটেড থেকে কেনা হবে ৬ হাজার মেট্রিক টন।