• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কর অব্যাহতির অপপ্রয়োগ: পোল্ট্রি, মৎস্য ও আইসিটি খাতের সুবিধা পর্যালোচনা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৪, ০৩:৩০ পিএম

কর অব্যাহতির অপপ্রয়োগ: পোল্ট্রি, মৎস্য ও আইসিটি খাতের সুবিধা পর্যালোচনা

সিটি নিউজ ডেস্ক

কর অব্যাহতি সুবিধার লাগাম টানবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। পিছিয়ে পড়া শিল্পখাত এগিয়ে নেয়ার ‘লক্ষ্যে’ দেয়া হয় এই সুবিধা। এতদিন ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে নানাখাতে এমন সুবিধা দেয়া হয়। এই কাজের কুশীলব সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিম। তবে এখন আর সেই পথে হাঁটবে না নিয়ন্ত্রক এই সংস্থা।

 

ধারণা করা হচ্ছে, এসব সুবিধার আড়ালেই নানা অনিয়ম হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখানো হয় কাগুজে বিনিয়োগ। কৌশলে সাদা করা হয় কালো টাকা। এক্ষেত্রে সামনে এসেছে পোল্ট্রি, মৎস্য, ডেইরি ও আইসিটি খাতের নাম। তাই এসব খাতের সুবিধা এবং এর আড়ালে কর ফাঁকির তথ্য যাচাই শুরু করেছে এনবিআর।

এনবিআরের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান মনে করেন, কর অব্যাহতির অপপ্রয়োগ বন্ধ করা দরকার। তিনি বলেছেন, মৎস্য, পোল্ট্রি, ডেইরি খাতে আয়ে ট্যাক্স ফ্রি ছিল। এখন সেখানে অল্প কিছু ট্যাক্স বসানো হয়েছে। আমরা খেয়াল করেছি, এগুলো ট্যাক্স ফাঁকি দেয়ার বড় একটি জায়গা। একদম পাড়াগাঁয়েও এই ব্যবসাগুলো রয়েছে। ওরাই কিন্তু সতিক্যারের মৎস্য, ডেইরি ও পোল্ট্রি উৎপাদক। ওদের জন্য আমরা কর অব্যাহতির সুবিধা দিলাম কিন্তু বাস্তবে এসব সুবিধা ব্যবহৃত হচ্ছে ট্যাক্স ফাঁকি দেয়ার কৌশল হিসেবে।

 

এদিকে, আইসিটি খাত বিকাশের কথা বলে বছরের পর বছর দেয়া হয়েছে কর সুবিধা। এতে শেখ হাসিনা সরকারের খুব কাছের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান আঙ্গুল ফুঁলে হয়েছে কলাগাছ।

আবদুর রহমান খান এ নিয়ে বলেন, অনেক বছর ধরে আইসিটি খাতে কর অব্যাহতির সুবিধা রয়েছে। আমরা দেখেছি, যেখানে এমন সুবিধা আছে, সেখানে অনিয়ম হয়েছে। যেমন, কারও আইসিটি ব্যবসায় লাভ খুব বেশি, তবে অন্য খাতের ব্যবসায় মুনাফা হয়নি। ধীরে ধীরে এ বিষয়গুলো খতিয়ে দেখবো। আর যেখান থেকে আমরা রাজস্ব পাই না, সেখান থেকে রাজস্ব আদায়ের চেষ্টা করবো।

 

বিশ্লেষকদের মতে, কর প্রশাসনে অটোমেশন না থাকায় কর ফাঁকি দেয়ার প্রবণতা বেড়েছে। সনাতনী ব্যবস্থা ধরে রাখতে চায় স্বার্থন্বেষী মহল। এক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশনের বিকল্প নেই।

এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, কর প্রশাসনকে যদি শক্তিশালী, অটোমেশন ও দক্ষ প্রশিক্ষণ দেয়া যায়, তাহলে রাজস্ব-জিডিপির অনুপাত ২-৩ শতাংশ বাড়ানো যায়। এখন যা ৮ এর নিচে আছে। এটাকে ১০ শতাংশ করা যায়।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর সংস্কারের ছোঁয়া লেগেছে রাজস্ব খাতে। এনবিআরের সব বিভাগের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

আর্কাইভ