• ঢাকা শুক্রবার
    ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

প্রযুক্তিপণ্যের ওপর ভর করে বিশ্ববাণিজ্য ধরে রেখেছে চীন!

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩, ০১:০৫ পিএম

প্রযুক্তিপণ্যের ওপর ভর করে বিশ্ববাণিজ্য ধরে রেখেছে চীন!

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চলতি বছরের শুরু থেকেই প্রযুক্তিনির্ভর পণ্য বিশেষ করে যান্ত্রিক এবং বৈদ্যুতিক পণ্যের রফতানি বাড়িয়েছে চীন। ফলে ভ্যালু চেইনে অব্যাহতভাবে বাড়ছে দেশটির রফতানি পণ্যের আধিপত্য।

চীনের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমসের বরাতে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, চলতি বছরের প্রথম ১১ মাসে চীন প্রায় ১২.৬৬ ট্রিলিয়ন ইউয়ান বা প্রায় ১.৮ ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিক পণ্য রফতানি করেছে। বিগত বছরের তুলনায় এটি ২.৮ শতাংশ বেশি। এমনকি চীনের মোট রফতানির প্রায় ৬০ শতাংশই যান্ত্রিক ও বৈদ্যুত্যিক পণ্য।

বর্তমানে বৈশ্বিক রফতানি স্কেলে চীনের ৮১১টি পণ্য আধিপত্য বিস্তার করে আছে। এতে যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এবং জৈব রাসায়নিকের মতো পণ্যের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারে নিজেদের শক্তিশালী অবস্থান ধরে রেখেছে।

তাছাড়া ভ্যালু চেইনে নিজেদের ইন্ট্রিগ্রেশন এবং ইনোভেশনের মাধ্যমে বাজার প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাচ্ছে কিছু কিছু চীনা এন্টারপ্রাইজ। এর মধ্যে একটি হচ্ছে, ডিইইআরএমএ। দক্ষিণ চীনের গুয়াংডং প্রদেশে অবস্থিত এ ইনোভেটিভ বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি উৎপাদনকারী ব্র‌্যান্ডটি আপস্ট্রিম বিদেশি কোম্পানিগুলোকে অধিগ্রহণ করেছে।

এ বিষয়ে ডিইইআরএমএ ভাইস প্রেসিডেন্ট লু জুনওয়েই বলেন, অভ্যন্তরীণ বাজারের ওপর ভিত্তি করে আমরা আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলো অধিগ্রহণের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী আমাদের অপারেশন সিস্টেম তৈরি করে আন্তর্জাতিক বাজার ধরছি। এতে পুরো সরবরাহ ব্যবস্থায় এবং ভ্যালু চেইনে আমাদের পরিসর বাড়ছে।

তাছাড়া চীনের ক্রস-বর্ডার ই-কমার্সও বিদেশের বাজারে দেশটির বাণিজ্য বাড়াতে নতুন দেশীয় পণ্য ও প্রযুক্তির জন্য একটি মোক্ষম প্ল্যাটফর্ম হয়ে ওঠেছে। গুয়াংডংয়ের শেনজেন শহরে অবস্থিত ইয়ানিয়ান বন্দরে গুয়াংডং-এ বিপুল সংখ্যক পণ্য রফতানির জন্য ১০টিরও বেশি ক্রস-বর্ডার ই-কমার্সের আন্তর্জাতিক শিপিং এক্সপ্রেস লাইন রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশনকে অ্যামাজনের ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস এবং রিটেইলের ভাইস প্রেসিডেন্ট এরিক ব্রুসার্ড বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান গ্রাহকের চাহিদা পুরণে চীনা বিক্রেতারা প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।’

বর্তমানে একাধিক খাতে নিজেদের বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি করেছে চীন। রেল ট্রানজিট সরঞ্জাম এবং জাহাজের মতো উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এন্টারপ্রাইজগুলো প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। অন্যদিকে, বায়োমেডিসিন ও ক্লিন এনার্জি খাতে আধিপত্য ধরে রেখেছে দেশটির প্রাইভেট খাত। চিকিৎসা যন্ত্র, ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট এবং ইলেকট্রনিক উপাদান রফতানির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে চীনা বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

 

জেকেএস/

আর্কাইভ