• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

যেখানে দাম কম সেখানেই ছুটে যাচ্ছেন ক্রেতারা!

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০২৩, ০৭:২০ পিএম

যেখানে দাম কম সেখানেই ছুটে যাচ্ছেন ক্রেতারা!

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর বাজারে আবারও বাড়তে শুরু করেছে ডিম ও মুরগির দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিপ্রতি ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। আর ডজনপ্রতি ডিমের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত।

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) কেরানীগঞ্জের আগানগর, রাজধানীর কারওয়ানবাজার ও হাতিরপুল কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

বিক্রেতারা জানান, কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। গত সপ্তাহে ব্রয়লার বিক্রি হয়েছিল ১৮০ টাকা কেজিতে। আর সোনালি মুরগি ৩২০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়।

কেরনীগঞ্জের আগানগর বাজারের বিক্রেতা করিম মোল্লা জানান, বাজারে মুরগির সরবরাহ কিছুটা কমেছে। পাশাপাশি বাড়ছে মুরগির ফিডের দাম। তাই দাম কিছুটা বেড়েছে।

রাজধানীর কারওয়ানবাজারের মুরগি ব্যবসায়ী ইফাজ ইয়ামিন বলেন, ১৬ ডিসেম্বর ও বিয়ের মৌসুমকে কেন্দ্র করে মুরগির চাহিদা বেড়েছে। তাছাড়া মুরগির খাবারের দাম বাড়ায় দামও বাড়ছে।

ক্রেতারা বলেন, কোন একটা অনুষ্ঠান বা অজুহাত পেলেই দাম বাড়ায় ব্যবসায়ীরা। ১৬ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে মুরগির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। বাজারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা না করায় দাম বাড়ানোর সাহস পায় তারা।

এদিকে দাম বেড়েছে ডিমেরও। ডজন প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে প্রতি ডজন লাল ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাসের ডিম ২১০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা জানান, মুরগির খাবারের দাম বেড়েছে। এতে উৎপাদন খরচ বাড়ায় দাম বাড়ছে।

এদিকে পোলট্রি খাবারের দাম বাড়িয়ে একটি মহল আবারও ডিম-মুরগির বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি সুমন হাওলাদার। তিনি বলেন, বাজারে পোলট্রি খাবারের দাম আবার বাড়তে শুরু করেছে। খাবারের দাম বাড়লে খামারিদের মুরগি উৎপাদনের খরচও বেড়ে যাবে। বাড়তি এই খরচ গিয়ে পড়বে ক্রেতাদের ওপর।

খাবারের দাম বাড়ায় প্রান্তিক খামারিদের ওপরও চাপ বাড়বে জানিয়ে বিপিএ সভাপতি বলেন, অনেক খামারি হয়তো উৎপাদন ছেড়ে দেবেন। তখন করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ে যুক্ত করবে। চুক্তি অনুযায়ী ডিম-মুরগির দাম নির্ধারণেও তখন খামারিদের কোনো ভূমিকা থাকবে না।

এতে খামারি-ভোক্তা সবাই করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে জিম্মি হয়ে পড়বেন বলেও মনে করেন সুমন হাওলাদার। তিনি বলেন, খাবারের দাম বাড়ায় সাময়িকভাবে কমপক্ষে ২০ হাজার প্রান্তিক খামার বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে বাজারে আরও বাড়বে ডিম-মুরগির দাম।

বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার চেষ্টা করছে জানিয়ে সুমন আরও বলেন, নিয়মিত বাজারে অভিযান পরিচালনা করতে হবে। বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। পাশাপাশি ডিম-মুরগিতেও ভর্তুকি দিতে পারে সরকার।

 

জেকেএস/

আর্কাইভ