প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২৩, ০৭:৪২ পিএম
রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নিয়ে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। ওয়ালমার্ট-কসকো-এইচএনএমের মতো বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডগুলোর কোনো আপত্তি না থাকলেও, দুবাইভিত্তিক ফ্রান্সের অখ্যাত একটি এজেন্ট প্রতিষ্ঠানের শর্ত নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা প্রশ্ন। এ নিয়ে শুরুতেই কঠোর ব্যবস্থা না নিলে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসানের স্বাক্ষর করা এক চিঠি পাঠানো হয়েছে। এতে পণ্য রফতানির এলসি খোলার ক্ষেত্রে এজেন্ট প্রতিষ্ঠানের স্যাংশন বা নিষেধাজ্ঞার শর্ত আরোপের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জন্য এ ধরনের শর্ত আরোপ যুক্তিসঙ্গত নয়।
মূলত গত কদিন আগে রাজধানী ঢাকার একটি গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পণ্য আমদানির আগে এলসিতে স্যাংশনে বিশেষ সুবিধা পাওয়ার কঠিন শর্ত জুড়ে দেয় ফ্রান্সের এজেন্ট। অথচ এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি বলে দাবি সরকারের পাশাপাশি গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের।
এ ধরনের অগ্রিম শর্তারোপকে এজেন্ট প্রতিষ্ঠানের সুবিধা আদায়ের চেষ্টা বলে জানান বিজিএমইএর সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন,কিছু কিছু এজেন্ট প্রতিষ্ঠান শর্ত আরোপ করে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করে এদের কার্যক্রম বন্ধ করা উচিত।
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭টি দেশের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাজার। ওয়ালমার্ট, জেসিপেনি, কসকো, এইচএনএম, জারা এবং প্রাইমার্কের মতো বিশ্বখ্যাত সব বায়ার এবং ব্রান্ডের পণ্য উৎপাদন হয় ঢাকা ও চট্টগ্রামের গার্মেন্টস কারখানায়।
অথচ এসব প্রতিষ্ঠান এখনো কোনো মন্তব্য না করলেও ফ্রান্সের অখ্যাত এজেন্টের শর্ত আতঙ্ক সৃষ্টি করছে দেশের গার্মেন্টস সেক্টরে।
বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন,ইউরোপ এবং আমেরিকা যে প্রেশার দেয়ার চেষ্টা করছে, সেটিকে কাজে লাগিয়ে কিছু কিছু এজেন্ট প্রতিষ্ঠান সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করছে।
রাজনৈতিক জটিলতা থেকেই আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য দুবাইয়ের এই প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে এলসি খোলানো এবং তাতে নিষেধাজ্ঞার শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরামের চেয়ারম্যান এস এম আবু তৈয়ব।
তিনি বলেন, আতঙ্ক সৃষ্টি করা এলসিটির সঙ্গে ইউরোপ-আমেরিকার বায়ারদের কোন সম্পর্ক নেই। অমূলক একটি আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বছরে ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার গার্মেন্টস পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ। আর চলতি বছরের ১১ মাসে রফতানি হয়েছে প্রায় ৩৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/