প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২৩, ০৩:০৪ এএম
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ২৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে এসেছে। নিট রিজার্ভও কমতে কমতে ১৯ বিলিয়ন ডলারের প্রান্ত সীমায় এসে দাঁড়িয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে এটি আরও কমতে পারে। রিজার্ভ থেকে ডলার দিয়ে আমদানি ব্যয় মেটানো ও বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের কারণে এটি কমে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৪৬৬ কোটি ডলার। একই দিন নিট রিজার্ভ ছিল ১ হাজার ৯১৩ কোটি ডলার। নিট রিজার্ভ আর ১৩ কোটি ডলার কমলেই তা ১৮ বিলিয়নের (১০০ কোটিতে এক বিলিয়ন) ঘরে নেমে আসবে। ১ সপ্তাহের ব্যবধানে নিট রিজার্ভ কমেছে ২৭ কোটি ডলার। একই সময়ে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৩৬ কোটি ডলার।
২৯ নভেম্বর গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৫০২ কোটি ডলার। ৩০ নভেম্বর তা আরও কমে ২ হাজার ৪৮৯ কোটি ডলারে নেমে আসে। বৃহস্পতিবার তা আরও কমে ২ হাজার ৪৬৬ কোটি ডলারে নেমে যায়। এ হিসাবে গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৩৬ কোটি ডলার।
২৯ নভেম্বর নিট রিজার্ভ ছিল ১ হাজার ৯৪০ কোটি ডলার। বৃহস্পতিবার তা কমে দাঁড়ায় ১ হাজার ৯১৩ কোটি ডলারে। ওই সময়ে নিট রিজার্ভ কমেছে ২৭ কোটি ডলার।
বৈশ্বিক মন্দা ও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়ার কারণে দেশের আমদানি ব্যয় বেড়ে যায়। একই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার আয়ও কমে যায়। এতে ২০২১ সালের আগস্টের পর থেকে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে। যে ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে চলতি মাসের শেষ দিকে ও আগামী মাসের শুরুর দিকে বৈদেশিক উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণের কিছু কিস্তি পাওয়া যাবে। এতে রিজার্ভ বাড়বে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তবে অনেকেই বলেছেন, রিজার্ভ বাড়বে সাময়িকভাবে। তা দিয়ে দীর্ঘ সময়ের ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে না। কারণ ফেব্রুয়ারিতে আইএমএফের ঋণের একটি কিস্তি ও বিশ্বব্যাংকের ঋণের একটি কিস্তি পেলেও সংকট কাটেনি। উলটো ব্যয় ও ঋণ পরিশোধ বাড়ায় এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয় কমায় ডলারের সংকট এখন প্রকট রয়ে গেছে।
জেকেএস/