• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সবজির দাম কমলেও চড়া চাল ডাল তেল চিনির বাজার

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২৩, ০৮:০৪ পিএম

সবজির দাম কমলেও চড়া চাল ডাল তেল চিনির বাজার

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম অনেকটাই কমে গেছে। তবে এখনও চড়া দামেই কিনতে হচ্ছে চাল, ডাল, আটা, ময়দা, চিনি, ভোজ্যতেল।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে সরেজমিনে দেখা গেছে, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের নির্দেশে ৪দিন ধরে কারওয়ান বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি দরে। একই সঙ্গে কমে আসছে মাছ-মুরগি-ডিমের দামও। বাজারে প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় এবং ব্রয়লার ১৭০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা। এ ছাড়া ডিমের হালি বর্তমানে স্থির রয়েছে ৪০ টাকা।

মাছের মধ্যে রুই মাছের কেজি মানভেদে ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা আর বোয়াল ৭০০ টাকা।

শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ায় অবশেষে স্বস্তি ফিরেছে কাঁচাবাজারে। কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি বেগুন, শিম ও ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা এবং মুলা ৪০ দরে। ফুলকপির প্রতি পিস ৪০ টাকা। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকায়।

তবে চাল, ডাল, আটা, ময়দা, চিনি, ভোজ্যতেল, আলু-পেঁয়াজসহ বাজারে এখনও চড়া অনেক নিত্যপণ্যের দামই। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, সপ্তাহ ব্যবধানে আরও বেড়েছে কিছু পণ্যের দাম।

এ বিষয়ে এক ‍মুদি বিক্রেতা বলেন, চাল, ডাল, তেল, লবণ- যেগুলো আমাদের নিত্যদিন প্রয়োজন হয়, সেগুলোর বেশিরভাগেই দামই বেশি। বাজারে ভোজ্যতেলের দাম একটু বাড়তি। ৫ লিটারের বোতলজাত তেলের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।

চিনির দাম বেশি থাকার বিষয়ে এক বিক্রেতা বলেন, খোলা চিনির সরকার নির্ধারিত দাম ১৩০ টাকা। এখন ওই চিনির কেজি আমাদের ১৪০ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ আমাদের কিনতেই হয় ১৩৫ টাকা থেকে ১৩৬ টাকা দরে।

দীর্ঘদিন ধরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চড়া দামে নাকাল ক্রেতা। তাদের দাবি, দাম যতটা বাড়ে, ততটা কমে না।

নিত্যপণের দাম নিয়ে নাকাল এক ক্রেতা বলেন, বাজারে চিনি থেকে শুরু করে বাচ্চার দুখ- সবকিছুর দামই বাড়তি। নিত্যপণ্যের দামে আমাদের নাভিশ্বাস। দেখার কেউ নেই আসলে।

আরেক জন ক্রেতা বলেন, বাজারে পণ্যের যে দাম, তাতে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের অনেক সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু যারা ভিআইপি, চাকরি-বাকরি করেন, অবৈধ পয়সা কামান, তাদের কোনো সমস্যা নেই।

কারওয়ানবাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকায়। মাঝারি চালের কেজি পড়ছে ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা আর সরু চালের কেজি পড়ছে ৬২ থেকে ৭৫ টাকা।

সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে মসুর ডালের দাম। বাজারে মোটা, মাঝারি ও সরু মসুর ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১৩৫ টাকায়। প্রতি কেজি প্যাকেটজাত আটার দাম পড়ছে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা। গত এক সপ্তাহে বেড়েছে ৪ শতাংশের ওপরে।

প্যাকেটজাত ময়দার কেজি এখন ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। গত সপ্তাহের তুলনায় বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ১ শতাংশের মতো।

এ ছাড়া নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায় এবং পুরান আলুর কেজি ৪০ টাকা। তাছাড়া দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজিতে।

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

 

জেকেএস/

আর্কাইভ