প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৩, ০২:৫৭ এএম
জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের (এনটিসিসি) সমন্বয়কারী (অতিরিক্ত সচিব) হোসেন আলী খোন্দকার বলেছেন, তামাক থেকে সরকার যে পরিমাণ রাজস্ব আয় করে, তার চেয়ে বেশি ব্যয় হয় তামাক ব্যবহারজনিত রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসায়। তামাকের কারণে বার্ষিক ক্ষতি প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সেমিনার কক্ষে ‘জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও আমাদের করনণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন হোসেন আলী।
‘ক্যান্সার সার্ভে-২০১৮’ এর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, তামাক খাতে রাজস্ব আয় প্রায় ২২ হাজার ৮১০ কোটি এবং চিকিৎসা ব্যয় প্রায় ৩০ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। তামাকের কারণে বার্ষিক ক্ষতি প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, জাতীয় সংসদে সংবাদ কাভার করতে গিয়ে দেখেছি, বিড়ির পক্ষে আমাদের সংসদ সদস্যদের অনেকে প্রকাশ্যে অবস্থান নেন। বিড়ির উপর ট্যাক্স বাড়ালে নাকি বিড়ি শিল্প ধংস হয়ে যাবে। এজন্য তামাকের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অঙ্গীকার দরকার।
তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে এসব বিষয়ে সতর্ক হতে হবে জানিয়ে আব্দুস সালাম মিয়া বলেন, টোব্যাকো এটলাস ২০১৮- এর তথ্য মতে তামাক ব্যবহারজনিত রোগে প্রতিবছর বাংলাদেশে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ অকালে মৃত্যুবরণ করেন। তার মানে প্রতিদিন ৪৪২ জন মানুষ প্রাণ হারান। জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষায় ও জীবন রক্ষায় দ্রুততম সময়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করতে হবে।
নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলি বলেন, তরুণরা ই-সিগারেটের প্রতি বেশি আসক্ত হয়ে পড়ছে। তাদের এই আসক্তি থেকে বের করে আনতে ই-সিগারেট বাজারজাত বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি। শুধু তাই নয়, বন্ধ করতে হবে সিগারেটের খুচরা শলাকা বিক্রিও।
তামাকজাত পণ্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর আকার ৫০শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশে বৃদ্ধি করা এবং বিক্রির স্থানে তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শন বন্ধ করতে হবে বলে জানান শাহীন আকতার।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) পরিচালক (অধ্যায়ন ও প্রশিক্ষণ) শাহ শেখ মজলিশ ফুয়াদ, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, ডিবিসি নিউজের সম্পাদক প্রণব সাহা প্রমুখ।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/