প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২৩, ০১:১৯ এএম
টানা টানা অবরোধে হিলি স্থল বন্দরের আমদানি ও রফতানি কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। কমেছে ভারত থেকে পণ্যের আমদানি। হিলি বন্দর দিয়ে যেসব পণ্য আমদানি হয়; তার মধ্যে অধিকাংশই পেঁয়াজ, আদা, রসুন, কাঁচা মরিচ ও আলুসহ নিত্যপণ্য।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বন্দর ঘুরে দেখা যায়, পাইকারি ব্যবসায়ীদের সংখ্যা অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেকটাই কম। আগে প্রতিদিন সকাল ১০টার পর আমদানি-রফতানি কার্যক্রমে দুদেশের শ্রমিক ও কর্মচারী এবং পাইকারদের হাঁকডাকে সরগরম থাকতো বন্দর। বর্তমানে অবরোধের কারণে পণ্য কিনতে আসে না পাইকাররা। বন্দরের অভ্যন্তরে আমদানিকারকদের মধ্যে কর্ম ব্যস্ততা লক্ষ্য করা যায় না।
এ বিষয়ে আমদানিকারক আব্দুল আল হেলাল বলেন, হিলি বন্দর দিয়ে যেসব পণ্য ভারত থেকে আমদানি হয়, সেগুলো বন্দরে বিক্রি করে থাকি। আমদানি করা অধিকাংশই পেঁয়াজ, আলু, আদা, রসুন এবং কাঁচা মরিচসহ নিত্যপণ্য। আমদানি আগের থেকে অনেক কম হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিগত সময়ে বিভিন্ন কারণে ব্যাংকগুলো এলসি দিতে গড়িমসি করলেও বর্তমানে খাদ্যদ্রব্যের দিচ্ছে। আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে বাহির থেকে পাইকারপত্র কম আসছে অবরোধের কারণে।
ঢাকার আড়তদারের প্রতিনিধি সেলিম মিয়া বলেন, প্রতিদিন হিলিস্থল বন্দর থেকে ৪-৫ গাড়ি আলু পেঁয়াজ কিনে থাকি। বর্তমানে কম কিনতে হচ্ছে। অবরোধের কারণে আড়তে পণ্যের চাহিদা কমেছে। পরিবহনের সংকটের কারণে ভাড়াও বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরেকজন পাইকারি ব্যবসায়ী বলেন, দীর্ঘদিন পর আবারো অবরোধ আতঙ্ক। যেভাবে অবরোধ চলছে, তাতে মনে হয় ব্যবসা-বাণিজ্য করা সম্ভব হবে না। বন্দর থেকে পেঁয়াজসহ যেসব পণ্য কিনে থাকি অধিকাংশই বাকিতে। এ অবরোধের কারণে ঠিক মতো টাকা-পয়সা আমদানি কারকদের দিতে পারছি না
হিলি পানামা পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাফ হোসেন প্রতাপ মল্লিক বলেন, অবরোধের মাঝেও স্বাভাবিক রয়েছে হিলি স্থল বন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। তবে কমেছে ভারত থেকে পণ্যের আমদানি। আগে ১৫০-১৮০ ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করলেও এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭০-৮০ ট্রাকে। এতে স্থবির হয়ে পড়ছে বন্দরের বাণিজ্য ও কার্যক্রম।
এদিকে আমদানি-রফতানি কমে যাওয়ায় বন্দরের শ্রমিকদের দৈনন্দিন আয় কমেছে। অনেকে বেকার হয়ে পড়েছেন। এ বন্দরে মূলত পেঁয়াজ, আদা, রসুন, খৈল, আলুসহ নিত্যপণ্যের আমদানি বেশি হয়ে থাকে। চলতি সপ্তাহের তিন কর্ম দিবসে ভারতীয় ২৪৭ ট্রাকে ৬ হাজার ২৫৭ মেট্রিক টন খাদ্যপণ্য আমদানি হয়েছে।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/