• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

ব্যাংকগুলোকে বাফেদার চিঠি, ডলারের একক দর কার্যকরে নির্দেশনা

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২৩, ১২:১৭ এএম

ব্যাংকগুলোকে বাফেদার চিঠি, ডলারের একক দর কার্যকরে নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ডলারের একক দর কার্যকর করতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সব ক্ষেত্রেই ডলার ক্রয়ে একই দর হবে। একই সঙ্গে ডলার বিক্রির ক্ষেত্রেও একই দর অনুসরণ করতে হবে। তবে ডলার ছাড়া অন্য কোনো মুদ্রায় রূপান্তরের ক্ষেত্রে ডলারের দর অনুসরণ করে এর ভিত্তিতে অন্য মুদ্রার দাম নিরূপণ করে লেনদেন করতে হবে। আগাম ডলার কেনাবেচার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) যৌথ সভার সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার রাতে অনলাইনে এবিবি ও বাফেদার এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্তের আলোকে রোববারের তারিখ উল্লেখ করে সোমবার সকালে বাফেদা থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এর আগে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের অনুকূলে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদনের সময় ডলারের ক্ষেত্রে একক দর কার্যকর করার শর্ত আরোপ করে। সম্প্রতি ঢাকা সফর করে যাওয়া আইএমএফ মিশনও ডলারের একক দর কার্যকর করতে আবারও ওই শর্ত বাস্তবায়ন করার তাগিদ দেয়। ডিসেম্বরে আইএমএফ-এর ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই শর্ত বাস্তবায়নে তৎপর হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, সব ক্ষেত্রেই ডলার বিক্রিতে একই দর অনুসরণ করতে হবে। ব্যাংকগুলোর ডলার বিক্রির দর হবে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। এই দামে আমদানির এলসি, বিদেশে পড়াশোনার শিক্ষার্থীদের ফি পরিশোধ, রোগীদের চিকিৎসা ব্যয়, বিদেশে রেমিট্যান্স নেওয়া, বৈদেশিক ঋণ পরিশোধসহ অন্যান্য দেনা পরিশোধের ডলার বিক্রি করতে হবে।

নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে যেসব ব্যাংকের কাছে অতিরিক্ত ডলার থাকবে, সেগুলো তারা আন্তঃব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে বিক্রি করতে পারবে। এক্ষেত্রে প্রতি ডলারের দাম হবে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা ৫০ পয়সা।

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয় ও দেশে আসা অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রা কিনতে হবে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা করে। তবে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের বিপরীতে সরকারের দেওয়া আড়াই শতাংশ প্রণোদনাসহ ব্যাংকগুলোও ইচ্ছা করলে সর্বোচ্চ আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দিতে পারবে। এতে রেমিট্যান্সের প্রতি ডলারের দাম হবে সর্বোচ্চ ১১৫ টাকা ৫৭ পয়সা। প্রণোদনা আড়াই শতাংশ অর্থ ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব তহবিল থেকে পরিশোধ করতে হবে। এ খাতে কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় হচ্ছে এর আলাদা হিসাব রাখতে হবে।

আগাম ডলার বেচাকেনার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া সীমা অনুসরণ করতে হবে। ছয় মাস মেয়াদি ট্রেজারি বিলের সুদের হারের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ যোগ করে আগাম ডলারের দাম নির্ধারণ করতে হবে। এর মধ্যে ছয় মাস মেয়াদি ট্রেজারি বিলের গড় সুদের হার বর্তমানে ৭ দশমিক ২০ শতাংশ। এর মধ্যে ৫ শতাংশ যোগ করলে দাঁড়াবে ১২ দশমিক ২০ শতাংশ। ওই হারে এক বছর মেয়াদি ডলার আগাম বেচাকেনার ক্ষেত্রে দাম বাড়ানো যাবে। এ হিসাবে এক বছর মেয়াদে আগাম বেচাকেনার ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের দাম হবে সর্বোচ্চ ১২৩ টাকা ৪৫ পয়সা।

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

অর্থ ও বাণিজ্য সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ