প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২৩, ০১:৩৬ এএম
দেশের রিজার্ভ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, দেশের রিজার্ভ পরিস্থিতি এখনও এলার্মিং বা বিপজ্জনক পর্যায়ে না গেলেও উদ্বেগের পর্যায়ে চলে গেছে। এটি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে নিশ্চয়ই বিপজ্জনক অবস্থায় পড়তে হবে। এখন প্রতি মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক ১০০ কোটি ডলারের বেশি বিক্রি করছে। এভাবে বিক্রি যদি চলতে থাকে, তাহলে একটা সময়ে রিজার্ভ তলানিতে নেমে যাবে। তখন মুদ্রা বিনিময় হার বর্তমানের মত চেপে রাখা যাবে না। এটা চলে যাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর গুলশান ক্লাবে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের (আইবিএফবি) সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. জাহিদ বলেন, বর্তমানে নিট রিজার্ভের পরিমাণ ১৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। এমনটা অব্যাহত থাকলে ভয়ানক পরিস্থিতি হতে পারে। এর কারণ হচ্ছে ডলারের দাম। ইউএস ডলার ইনডেক্সের মান ২০২১ সালেও ১০০-এর নিচে ছিল। কিন্তু ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তা ১০০-এর ওপরে চলে যায়। এখন কিছুটা কমলেও এখনো তা ১০০-এর ওপরে রয়েছে।
দেশে কত বিদেশি মুদ্রা ঢুকছে এবং কত মুদ্রা বেরিয়ে যাচ্ছে, তার হিসাব রিজার্ভ দিয়ে মিলছে না বলে অভিযোগ করেন ড. জাহিদ। তিনি বলেন, সাধারণত এই হিসাব কখনো ধনাত্মক, আবার কখনো ঋণাত্মক। কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, এই হিসাব বেশ কিছুদিন ধরে ঋণাত্মক। এর অর্থ হলো, আমাদের জানার বাইরে কিছু একটা ঘটছে।
ড. জাহিদ বলেন, বাংলাদেশি মুদ্রার বিনিময় হার কমছে, তেমনি রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। সরকারের অগতানুগতিক নীতির কারণে গত ২৪ মাস বা ২ বছরে প্রতি মাসে ১০০ কোটি ডলার করে রিজার্ভ কমেছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইবিএফবির সভাপতি ও এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন রশীদ। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা।