প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২৩, ০১:২৭ এএম
গত ৪১ মাসের মধ্যে (বছরের হিসাবে সাড়ে তিন) সর্বনিম্ন প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে সদ্যসমাপ্ত সেপ্টেম্বর মাসে। সেপ্টেম্বরে দেশে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। আগের মাসে অর্থাৎ আগস্টে প্রায় ১৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। এর আগে ২০২০ সালের এপ্রিলে সর্বনিম্ন ১০৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।
বিশ্লেষকরা জানান, ব্যাংকিং চ্যানেলের চেয়ে খোলা বাজারে যখন ডলারের দামের ব্যবধান বেশি হয় তখন হুন্ডি বেড়ে যায়। আর যখন হুন্ডির চাহিদা বাড়ে তখন রেমিট্যান্স কমে যায়। গত মাসে ব্যাংকের চেয়ে খোলা বাজারে ডলারের দাম ৬ থেকে ৭ টাকা বেশি ছিল। তাই বেশি লাভের আশায় বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো কমিয়ে দিয়েছেন প্রবাসীরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিদায়ী মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ডলার। এ অঙ্ক আগের বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় ১৯ কোটি ৫৯ লাখ বা ১২ দশমিক ৭২ শতাংশ কম। গত বছরের সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যাংকিংয়ের চেয়ে খোলাবাজারে ডলারের রেট অনেক বেশি। ফলে প্রবাসীদের হুন্ডিতে টাকা পাঠাতে আগ্রহ বাড়ছে। প্রবাসী আয়ের ওপর দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। এ দুই শতাংশ প্রণোদনাসহ প্রতি ডলারের বিনিময়ে ব্যাংক থেকে যে টাকা পাওয়া যায়, খোলাবাজারে এর চেয়ে ৪-৬ টাকা বেশি পাওয়া যায়। ফলে আগে যারা বৈধ চ্যানেল ব্যবহার করে টাকা পাঠাতেন, তারা এখন হুন্ডির পথ বেছে নিয়েছেন।
তাদের মতে, কিছু প্রবাসীর বৈধ কাগজপত্র থাকে না। ফলে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠানো সম্ভব হয় না। তারা হুন্ডিতে টাকা পাঠাতে বাধ্য হন। তা ছাড়া প্রবাসীদের একটা বড় অংশ অল্প শিক্ষিত। ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট করা কিংবা টাকা পাঠাতে তাদের আগ্রহ কম থাকে। বিপরীতে হুন্ডিতে টাকা পাঠানো সহজ। যার মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয়, তিনি সরাসরি ওই দেশের মুদ্রা নিয়ে দেশে টাকা দেন। এতে কোনো ঝামেলাই হয় না।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন