প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩, ০১:০৮ এএম
সরকার উদ্যোগ না নেয়ায় পুরান ঢাকার প্লাস্টিক কারখানা সরানো সম্ভব হচ্ছে না বরে অভিযোগ করেছ্নে ব্যবসায়ীরা। এতে যেকোনো সময় আবারও বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন তারা।
শনিবার (২৩ সেপ্টম্বর) রাজধানীর পল্টন টাওয়ারে ইআরএফ কনফারেন্স হলে ঝুঁকিপূর্ণ প্লাস্টিক খাত ও করণীয় বিষয়ক এক সেমিনারে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও প্লাস্টিক ব্যবসায়ী মো. জসিম উদ্দিন এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘সরকার পুরান ঢাকার কোনো প্লাস্টিক কারখানা ভাঙছেও না, স্থানান্তরেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। যা প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি করছে।’
সার্ক চেম্বার অব কমার্সের বর্তমান এই সভাপতি আরও বলেন, প্লাস্টিক পল্লি দ্রুত কার্যকর করতে হবে। অনিরাপদভাবে দেশের প্লাস্টিক শিল্প চললেও দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। ব্যবসায়ীদের নিজেদের সক্ষমতায় কারখানা স্থানান্তরের আহবান জানান তিনি।
জসিম উদ্দিন আরও বলেন, শিল্প কারখানায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের আলাদা বিভাগ করা প্রয়োজন। শ্রম অধিদফতর এসব অনিয়ম ভালোভাবে দেখভাল করতে পারছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে জমিস উদ্দিন বলেন, ‘কারখানা আপনার সেখানকার সম্পদও আপনার। আর তার নিরাপত্তার জন্য আপনাকেই বিনিয়োগ করতে হবে।’
সম্প্রতি প্লাস্টিক কারখানার একটি অংশে বিভিন্ন বিষয়ে সমীক্ষা করে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ, সিপিডি।
গবেষণায় বলা হয়, নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ২৩০ মিলিয়ন ডলারের প্লাস্টিক পণ্য রফতানি করেছে। বর্তমানে দেশে প্লাস্টিক খাতে রয়েছে পাঁচ হাজারের বেশি কারখানা। কিন্তু অধিকাংশ কারখানাই আইন মেনে পরিচালিত হয় না। এতে মাঝে মাধ্যেই অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় প্রাণহানিসহ ক্ষতিগ্রস্ত হন ব্যবসায়ী ও কর্মীরা।
গবেষণা রিপোর্ট তুলে ধরে সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, এ খাতে চ্যালেঞ্জ রয়েছে নানামুখি। ফায়ার সেফটি ও আন্তর্জাতিক সনদ না থাকায় কতটুকু সম্ভব রফতানি, তা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। রফতানি পরিকল্পনা সঠিকভাবে নিলে প্লাস্টিক শিল্পকে আরএমজির মতো দ্বিতীয় অবস্থানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে দাবি করেন এই গবেষক। তবে সেজন্য শিল্পকারখানা স্থানান্তরের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য তার।
প্লাস্টিক শিল্প জীবন ব্যবস্থা সহজ করেছে। স্বল্প মূল্যে অনেক পণ্য ব্যবহার করতে পারছে মানুষ। তবে দেশের প্লাস্টিক শিল্পের কারখানাগুলোতে সচেতনতার অভাব রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন গবেষক গোলাম মোয়াজ্জেম।
শ্রম অধিদফতরের যুগ্ম পরিচালক মতিউর রহমান বলেন, শিল্প ভিত্তিক কোড বা গাইডলাইন নির্ধারণ ও অ্যাসোসিয়েশনকে শক্তিশালী করতে হবে।
বাংলাদেশে আইন আছে, বাস্তবায়নে সবাইকে কাজ করার আহবান জানিয়ে আইএলও কান্ট্রি ডিরেক্টর তুমো পুতিতাইনেন বলেন, ‘শ্রমিকদের সুরক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে কাজ করতে হবে মালিকদের। নিরাপত্তা নিশ্চিতে তাদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।’
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/