• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ভিসা নিষেধাজ্ঞায় বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে না: সালমান এফ রহমান

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩, ০৬:৫৪ পিএম

ভিসা নিষেধাজ্ঞায় বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে না: সালমান এফ রহমান

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মার্কিন নতুন ভিসা নীতিকে সরকার ইতিবাচক হিসেবে দেখছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের ফলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে কোনো প্রভাব পড়বে না।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে উন্নয়ন পরিকল্পনা বিষয়ক একটি কনফারেন্সে অংশ নেয়ার পর সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলা সময়ে এ কথা বলেন সালমান এফ রহমান।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন যদি পর্যবেক্ষক না পাঠায় তাহলে নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‌‌‌‌‌‌‌‘মোটেও না। পর্যবেক্ষক পাঠাবে কিনা, সেটা তো তাদের ব্যাপার। আমার ইলেকশন আমি সংবিধান অনুযায়ী করবো।’

ইইউ‍‍`র সঙ্গে একমত পোষণ করে সালমান এফ রহমান বলেন, তারা স্বচ্ছ নির্বাচন চান। আমরাও বলেছি, স্বচ্ছ নির্বাচন করবো। এখন তাদের পর্যবেক্ষক আমাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে এলো কি এলো না সেটা তাদের ব্যাপার। এতে আমাদের নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত কোনো প্রভাব পড়বে না।

নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর আগে নির্বাচন কমিশন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে ছিল। শেখ হাসিনা সেটা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনস্থ থেকে সরিয়ে স্বাধীন একটি নির্বাচন কমিশনের রূপ দিয়েছেন। আমরা স্বচ্ছ ব্যালট বক্স করেছি।’

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ শুরুর ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের এ সংক্রান্ত বিবৃতি দেন।

বিবৃতি বলা হয়, এসব ব্যক্তিদের মধ্যে আইন প্রয়োগকারী, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যও রয়েছে। 

তবে কারা নীতির আওতায় পড়েছেন তাদের নাম উল্লেখ করেনি মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।

বিবৃতি অনুযায়ী, নিষেধাজ্ঞায় পড়া ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন। এছাড়া বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে প্রমাণিত অতিরিক্ত ব্যক্তিরাও ভবিষ্যতে এই নীতির অধীনে মার্কিন ভিসার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে।

এর মধ্যে বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা, বিরোধী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা পরিষেবার সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই পদক্ষেপগুলো শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সমর্থন করার জন্য যা বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে চায় তাদের সমর্থন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।

এর আগে চলতি বছরের ২৪ মে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সহায়তার লক্ষ্যে এই ভিসা নীতি ঘোষণা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

সে সময় তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা, সরকার ও বিরোধীদলীয় রাজনীতিবিদ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, বিচার বিভাগের সদস্য, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে।

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

 

জেকেএস/

আর্কাইভ