• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

আসিয়ান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্যিক কেন্দ্র হতে পারে বাংলাদেশ: এফবিসিসিআই

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩, ০১:২০ এএম

আসিয়ান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্যিক কেন্দ্র হতে পারে বাংলাদেশ: এফবিসিসিআই

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসিয়ান, দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জন্য ব্যবসার সেতুবন্ধ স্থাপন এবং ও দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশ বাণিজ্যিক কেন্দ্র হতে পারে বলে মনে করে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর ২২) রাজধানীর একটি হোটেলে ভিয়েতনামের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রেসিডেন্ট ভং দিন হুয়ের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এই মন্তব্য করেন এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি ড. যশোদা জীবন দেবনাথ।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ শিগগিরই এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের মাইলফলক স্পর্শ করবে। এরই মধ্যে আমরা দক্ষিণ এশিয়ার উদীয়মান অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছি। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশকে আসিয়ান, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াসহ আঞ্চলিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে একাধিক এফটিএ এবং পিটিএ চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ভিয়েতনামের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদার এখন সময়ের দাবি। এর ফলে নতুন নতুন বাজারে প্রবেশ  বাংলাদেশের জন্য আরও সহজ হবে। বিশেষ করে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য জোরদারে ভিয়েতনাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। অর্থনৈতিক সম্ভাবনা এবং ভৌগোলিক অবস্থানের আসিয়ান, দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জন্য ব্যবসার সেতুবন্ধ স্থাপনের মাধ্যমে বাণিজ্যিক কেন্দ্র হতে পারে বাংলাদেশ।’

যশোদা দেবনাথ বলেন, ‘ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশ ঐতিহাসিকভাবে শুধু সার্বভৌমত্বের সংগ্রামের জন্যই সংযুক্ত নয়;বরং জাতি হিসেবে আমরা স্থিতিশীল, অধ্যবসায়ী এবং গতিশীল। এ বছর আমাদের দুদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন করেছি।’

তিনি বলেন, ‘বাণিজ্যের পাশাপাশি আমরা দুদেশের মধ্যে বিনিয়োগ ও ব্যবসায়িক সহযোগিতা বাড়াতেও আগ্রহী। আমাদের রফতানিকে বৈচিত্র্যময় করার জন্য সরকার কাজ করছে। ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীরা আমাদের ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগ করে এই যাত্রায় সহযোগী হতে পারে।

ভং দিন হুয়ে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যে অসাধারণ বন্ধুত্ব বিরাজ করছে। ভারতের পর দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ভিয়েতনামের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাণিজ্যিক অংশীদার। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য জোরদারে ভিয়েতনাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ভিসিসিআই) এবং দেশটির সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ সরকার ও এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে বলেও জানান তিনি।

সাক্ষাৎ শেষে বিকেলে ‘ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতার উন্নয়নে নীতি ও আইন বিষয়ক ফোরাম’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি শমী কায়সার। তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য অংশীদারিত্ব দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের একটি বিশেষত্ব। যদিও ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বিদ্যমান, কিন্তু এখন আমাদের মধ্যে বাণিজ্যের মধ্যে অনেক সম্ভাবনা বিদ্যমান।’

ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্ক ও টুরিজমে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের অ্যাগ্রো এবং ফুড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রি এখন দেশের চাহিদা মিটিয়ে রফতানির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমাদের তৈরি পোশাক খাত চীনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানিকারক। বিশ্বের সেরা ১০টি সবুজ পোশাক কারখানার মধ্যে শীর্ষ ৮টি বাংলাদেশে অবস্থিত। ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীরা এই বিষয়গুলো ভেবে দেখতে পারেন।’

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ন্যুয়েন মান কুঅংকে, এফবিসিসিআইয়ের মহাসচিব মো. আলমগীর, ইন্টারন্যাশনাল উইংয়ের প্রধান রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নান এনডিসি এবং বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

 

জেকেএস/

আর্কাইভ