• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

আরও ৬ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৩, ০৮:১৮ পিএম

আরও ৬ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বাজারে দামের লাগাম টানতে আরও ৬ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ৬টি প্রতিষ্ঠানকে এ ডিম আমদানির অনুমতি দিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: চিজ গ্যালারি, পপুলার ট্রেড সিন্ডিকেট, মেসার্স রিপা এন্টারপ্রাইজ, এস এম করপোরেশন, বিডিএস করপোরেশন ও মেসার্স জয়নুর ট্রেডার্স।

সিটি নিউজ ঢাকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা হায়দার আলী।

তিনি বলেন, আমদানি করা ডিম লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলার এক সপ্তাহের মধ্যে দেশে এসে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যেই প্রক্রিয়া শুরু হবে।

এর আগে, গত সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দেশের বাজারে ডিমের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় তা সামাল দিতে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেয় সরকার। চারটি প্রতিষ্ঠানকে এ অনুমতি দেয়া হয়।

ওই চারটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে: মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজ, প্রাইম এনার্জি ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড সাপ্লাইয়ার্স, টাইগার ট্রেডিং ও অর্নব ট্রেডিং লিমিটেড।

প্রসঙ্গত, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতিদিন চার কোটি ডিমের প্রয়োজন হয়।

ওই সময় সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, যদি বাজার মনিটরিং করে দেখা যায় যে, আমদানির পরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না, তাহলে আরও ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ‘গতমাসে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ডিমের উৎপাদন খরচ সাড়ে ১০ টাকা ধরে খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। কিন্তু জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বিভিন্ন সময় বাজার অভিযানে দেখতে পেয়েছে, খুচরা পর্যায়ে ডিম এ দামে বিক্রি হচ্ছে না। তাই বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সিদ্ধান্তে আমরা কিছু ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছি।’

আমদানির শর্ত
সে সময় ডিম আমদানির ক্ষেত্রে পাঁচটি শর্ত জুড়ে দেয় সরকার। শর্তগুলো হলো: এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু মুক্ত দেশ হতে ডিম আমদানি করতে হবে। আমদানি করা ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রফতানিকারক দেশের সরকারের মাধ্যমে নির্ধারিত কিংবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেয়া এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লুর ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত সনদ জমা দিতে হবে।

একই সঙ্গে সরকার নির্ধারিত শুল্ক বা কর পরিশোধ করতে হবে। পাশাপাশি নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করা যাবে না। তাছাড়া সরকারের অন্য বিধিবিধান মেনে চলতে হবে।

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

 

জেকেএস/

অর্থ ও বাণিজ্য সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ