প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩, ০৭:৫৯ পিএম
সৌদি আরব ও রাশিয়ার তেল উৎপাদন কমানোর ঘোষণায় বৈশ্বিক তেলের বাজারে ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ বিরাজ করছে। এর প্রভাবে বাড়ছে জ্বালানি তেলের দাম। বর্তমানে ব্রেন্ট ক্রুড ও ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) - উভয় বেঞ্চমার্কই বিগত প্রায় ১০ মাসে সর্বোচ্চে অবস্থান করছে।
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, সৌদি আরব ও রাশিয়ায় তেলের সরবরাহ কমানোর পদক্ষেপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুর্বল উৎপাদনের কারণে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল সরবরাহে ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ বিরাজ করছে। এতে মঙ্গলবারও (১৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে।
এদিন ডব্লিউটিআই অপরিশোধিত তেলের দাম ৯৯ সেন্ট বা ১.১ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল উঠেছে ৯২.৪৭ ডলারে। এদিকে, গ্লোবাল অয়েল বেঞ্চমার্কে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৫৪ সেন্ট বা ০.৬১ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি দাঁড়িয়েছে ৯৫.০১ ডলারে।
এর আগে, সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৩৯ সেন্ট বা ০.৪ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল ৯৪.৩২ ডলারে পৌঁছে। অন্যদিকে, ডব্লিউটিআই বেঞ্চমার্কে ক্রুডের দাম ৫৩ সেন্ট বা ০.৬ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ঠেকেছে ৯১.৩০ ডলারে।
ধারণা করা হচ্ছে, ২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকে ইউক্রেনে রাশিয়া অভিযানের সময় তেলের দাম যে পর্যায়ে উঠে গিয়েছিল, চলতি প্রান্তিকে বৈশ্বিক বাজারে তেলের দাম সে পর্যায়ে উঠার পথে রয়েছে।
কাজেই বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম টানা তিন সপ্তাহ ধরে বাড়ছে। ফলে বর্তমানে উভয় তেলের বেঞ্চমার্কই বিগত প্রায় ১০ মাসে সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে।
এদিকে, সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ইউএস এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইআইএ) জানিয়েছে, শীর্ষ শেল উৎপাদনকারী অঞ্চলগুলো থেকে মার্কিন তেলের উৎপাদন অক্টোবরে দৈনিক ৯.৩৯৩ মিলিয়ন ব্যারেলে নেমে যাওয়ার পথে রয়েছে, যা ২০২৩ সালের মে মাসের পর সর্বনিম্ন স্তর। তাছাড়া টানা তিন মাস থেকেই ওই সব অঞ্চল থেকে মার্কিন উৎপাদন কমছে। প্রসঙ্গত, শেল তেল হচ্ছে একটি উচ্চমানের অপরিশোধিত তেল, যা শেল রক, অভেদ্য কাদাপাথর বা পলিপাথরের স্তরগুলোর মধ্যে অবস্থিত।
অন্যদিকে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ সম্মিলিতভাবে দৈনিক ১.৩ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উত্তোলন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব ও রাশিয়া।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/