প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩, ০১:৩০ এএম
আগামী বছরের জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডকে স্মার্ট কার্ডে রুপান্তরিত করে বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়ির ইন্দিরা রোড ক্রীড়া চক্র মাঠে টিসিবি আয়োজিত এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে চালসহ টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
টিসিবির কার্ড স্মার্ট কার্ডে রুপান্তরের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে জানিয়ে আগামী মাস (অক্টোবর) থেকে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু করা সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
তিনি জানান, বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে সব দেশেই পণ্যের দাম বাড়ছে। যার প্রভাব আমাদের দেশেও পড়েছে। বিশেষ করে তেল, চিনিসহ অন্যান্য আমদানি করা পণ্যের দামে এর প্রভাব পড়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই এসব পণ্যের দাম বাড়ে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভোজ্যতেল ও চিনির প্রায় পুরোটাই আমদানি করতে হয়। সেই সঙ্গে মশুর ডালও আমদানি করতে হয়। এজন্য এসব পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্ধারণ করতে হয়।
টিসিবি কার্ডের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে টিপু মুনশি বলেন, যদি কার্ড পাওয়া বা দেয়ার মত যোগ্য মানুষ পাওয়া যায় তাহলে বিবেচনা করা হবে। তবে এই মুহূর্তে আমরা এককোটির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে চাই।
তিনি আরও বলেন, এককোটি ফ্যামিলি কার্ড মানে প্রায় ৫ কোটি উপকারভোগী। কারণ একজন কার্ডধারীর পরিবারে গড়ে পাঁচজন থাকলে, সুবিধাভোগীর সংখ্যা পাঁচ কোটি হবে।
প্রাথমিকভাবে ৫০ লাখ কার্ড করার সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংখ্যাটি এক কোটি করতে বললেন। তার নির্দেশনা অনুযায়ী, আমরা এক কোটি ফ্যামিলি কার্ড করেছি।
অনুষ্ঠানে টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান খান ইরান এবং টিসিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ঢাকা মহানগরে টিসিবির সেপ্টেম্বর মাসের বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) থেকে।
সেপ্টেম্বর মাসের বিক্রি কার্যক্রমে সর্বোচ্চ ২ লিটার সয়াবিন তেল বা রাইসব্রান তেল, ২ কেজি মসুর ডাল ও ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন উপকারভোগীরা। এক্ষেত্রে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বা রাইসব্রান তেলের দাম পড়বে ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ৬০ টাকা এবং প্রতি কেজি চালের দাম পড়বে ৩০ টাকা।
এদিকে এতদিন টিসিবির বিক্রি কার্যক্রমে উপকারভোগীরা ৭০ টাকা দরে ১ কেজি চিনিও কিনতে পারতেন। কিন্তু আগস্ট মাসের সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি কার্যক্রমে চিনি বিক্রি করা হয়নি।
এ মাসে সেটি আবারও বিক্রি কার্যক্রমের পণ্য তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। উপকারভোগীরা সর্বোচ্চ ১ কেজি চিনি কিনতে পারবেন। প্রতি কেজি চিনির জন্য তাদের ৭০ টাকা গুনতে হবে। তবে এটি সব জায়গায় পাওয়া যাবে না।
প্রাপ্যতা সাপেক্ষে কয়েকটি স্থানে বিক্রি কার্যক্রমে চিনি বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/