প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৩, ০৩:২৪ এএম
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, সার্কুলার অর্থনীতি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশগত সাসটেইনেবিলিটি অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট পথরেখা উপস্থাপন করে।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেল ইউনিডো ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘সুইচ টু সার্কুলার ইকোনমি ভ্যালু চেইনস্’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন,
তৈরি পোশাক শিল্প ঐতিহাসিকভাবে একটি লিনিয়ার বিজনেস মডেল অনুসরণ করেছে। এখন এটা স্পষ্ট যে, আমরা যদি শিল্পে সাসটেইনেবিলিটি নিশ্চিত করতে চাই, তবে এই গতিপথ পরিবর্তন করা দরকার।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে সার্কুলারিটি রূপান্তরের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ আমাদের আছে। তবে এই নেতৃত্ব প্রদান শুধুমাত্র একটি শিল্প হিসেবে নয়, বরং সার্কুলার অনুশীলনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটি জাতি হিসেবে এই নেতৃত্ব আমরা দিতে চাই।’
সেমিনারে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, পরিবেশ বাঁচাতে এবং বিশ্বকে রক্ষায় সব শিল্পেই সার্কুলার ইকোনমি জরুরি। বিশ্বব্যাপী পরিবেশগত সচেতনতা তৈরি হয়েছে। টেকসই উন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রফতানিকারক দেশ। সবুজায়ন গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ রেকর্ড করেছে। পোশাক খাত বাংলাদেশের জাতীয় রফতানি বাণিজ্য জোরদারকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন ও গ্রামীণ অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
পোশাক খাতের পরিবেশগত রূপান্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশ লাভবান হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘গার্মেন্টস শিল্পে বাংলাদেশের আরও ভাল করার সুযোগ রয়েছে। তাই, টেক্সটাইল বর্জ্যের পুনর্ব্যবহারযোগ্য সমাধানের জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশে ইইউ প্রতিনিধিদলের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ড. বার্ন্ড স্প্যানিয়ার প্রমুখ।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/