• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ঢাকা চেম্বার সভাপতি

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ঐতিহাসিক মাইলফলক: ডিসিসিআই সভাপতি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩, ০৪:০৪ এএম

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ঐতিহাসিক মাইলফলক: ডিসিসিআই সভাপতি

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য এক নতুন ঐতিহাসিক মাইলফলক বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন ডিসিসিআই সভাপতি।

তিনি বলেন, দেশের অবকাঠামো খাতে টেকসই উন্নয়নে বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে রাজধানীতে মেট্রোরেল এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বা উড়াল সড়কের বাস্তবায়ন করা হয়েছে, যার উদ্দেশ্য হচ্ছে রাজধানীর সাথে আশপাশের এলাকাগুলোর সহজতর যোগাযোগ নিশ্চিত করা। উড়াল সড়কটির প্রথম অংশের কাজের উদ্বোধন দেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে আরও বেগবান করবে।

ঢাকার পরিবহন সংযোগকে গতিশীল করার সঙ্গে সঙ্গে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যানজট নিরসনে সাহায্য করবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যানজট দ্বারা সৃষ্ট অন্যান্য চ্যালেজ্ঞ দূরীকরণ এবং অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়নে নতুন দিগন্তের উন্মোচন ঘটাবে প্রকল্পটি। পাশাপাশি অবকাঠমো খাতের বহুল প্রত্যাশিত এ বৃহৎ প্রকল্পটি স্থানীয় সাপ্লাই চেইন নেটওয়ার্ক ও ব্যবসায়ী কার্যক্রমে অসামান্য অবদান রাখবে।’

সামীর সাত্তার বলেন, ‘যাত্রী, সাধারণ জনগণ, বিনিয়োগকারী এবং ঢাকার উদ্যোক্তারা এই প্রকল্প থেকে আগামী দিনগুলোতে বেশ উপকৃত হবেন। এটি স্থানীয় আঃন্তসংযোগ জোরদার করার পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্ন যান চলাচল নিশ্চিত করবে। এছাড়া নগরবাসীর ওপর ট্রাফিক জ্যামের নেতিবাচক প্রভাব অনেকটাই কমিয়ে আনবে।’

বর্তমান সরকারের ফাষ্ট ট্র্যাক প্রকল্পগুলোর আওতাধীন যোগাযোগ অবকাঠামোর এ বিশাল প্রকল্পটি ঢাকা শহরের যানজট নিরসনের পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্ন যান চলাচলে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলেও জানান ডিসিসিআই সভাপতি। 

তিনি বলেন,রাজধানীতে বসবাসকারী সাধারণ জনগণসহ উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের সার্বিক কার্যক্রমে বহুমাত্রিক পরিবর্তন আনবে প্রকল্পটি। যানজটের কারণে আগে যত শ্রমঘন্টা নষ্ট হতো; তা অনেকাংশে কমে আসবে।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘রাজধানীর পরিবহন যোগাযোগ ব্যবস্থায় ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারায় উড়াল সড়কটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নিয়ে আসবে। এটি স্থানীয় ও রফতানিমুখী শিল্পায়ননির্ভর অর্থনৈতিক বিকাশের লক্ষ্য অর্জনে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত করবে। বহুল প্রত্যাশিত এ উড়াল সড়কটি রফতানিকারকদের গাজীপুর এবং সাভার থেকে উৎপাদিত পণ্য স্বল্প খরচে ও দ্রুততম সময়ে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে পৌঁছাতে সাহায্য করবে। যা স্থানীয় বাণিজ্যের পাশাপাশি প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে আমদানি-রফতানি কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করবে।’

উড়াল সড়কটি বাংলাদেশের বিনিয়োগ সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিতের পাশাপাশি জিডিপিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন সামীর সাত্তার। তিনি বলেন, সামনের দিনগুলোতে এটি দেশের অবকাঠামোগত এবং অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কার্যকর অবদান রাখবে।

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

 

জেকেএস/

আর্কাইভ