প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৩, ০২:৩৭ এএম
ভারতে দুই হাজার রুপির নোট বাতিলের পর থেকে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ৯৩ শতাংশ নোট ব্যাংকগুলোতে ফেরত এসেছে বলে জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) আরবিআইয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, বাজার থেকে দুই হাজার রুপির নোট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার পর থেকে ভারতের ব্যাংকগুলোতে ৩ দশমিক ৩২ ট্রিলিয়ন রুপি বা ৪০ দশমিক ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ২ হাজার রুপির নোট ফেরত এসেছে, যা মোট প্রচলিত নোটের প্রায় ৯৩ শতাংশ।
আরবিআইর তথ্য অনুযায়ী, ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ফেরত প্রাপ্ত ২ হাজার টাকার মোট ব্যাংক নোটের মধ্যে, প্রায় ৮৭ শতাংশ আমানত আকারে এবং বাকি প্রায় ১৩ শতাংশ অন্যান্য মূল্যের ব্যাংক নোট হিসেবে বিনিময় করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হবে দুই হাজার রুপির নোট ব্যাংকে জমা দেয়ার সময়সীমা। তবে বাজারে এখনও অবশিষ্ট থাকা নোটগুলো নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ব্যাংকগুলোতে ফেরত আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
চলতি বছরের ১৯ মে ভারতে বাতিল করা হয় দুই হাজার টাকার নোট। ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ২৩ মে থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যেকোনো ব্যাংকে গিয়ে দুই হাজার রুপির নোটের পরিবর্তে সমমূল্যের অন্য ব্যাংক নোট নিতে পারবেন দেশটির নাগরিকরা।
২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার ১ হাজার ও ৫০০ টাকার ব্যাংক নোট বাতিল করে নতুন ২ হাজারের ব্যাংক নোট চালু করে। সে হিসেবে সদ্য বাতিলের ঘোষণা দেয়া ২ হাজারের ব্যাংক নোটের বয়স মাত্র সাত বছর। আর সাত বছরেই বাজার থেকে বিদায় নিতে চলেছে ২ হাজারের ব্যাংক নোট।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, দু-বছর ধরে নতুন করে ২ হাজারের ব্যাংক নোট ছাপাত না মোদি প্রশাসন। এমনকি বাজারেও তেমন দেখা যায় না বড় অঙ্কের নোট। তা ছাড়া বাজারে গিয়ে ২ হাজারের নোট দিয়ে কিছু কেনাকাটা করলে খুব সহজে সেই নোটের খুচরা ফেরত পাওয়া যেত না। ফলে ২ হাজারের নোটের চাহিদা ক্রমেই কমে আসছিল।
যদিও হঠাৎ করে মোদি প্রশাসন কেন ২ হাজার টাকার নোট বাতিল করল, সেটা নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা নেই সরকারের কাছে। ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার বরাত দিয়ে জানায়, এই মুহূর্তে ৩ দশমিক ৬৫ লাখ কোটি ২ হাজারের নোট দেশটির বাজারে রয়েছে।
২০১৬ সালের নোটবন্দির ঘটনায় দেশজুড়ে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যদিও বিজেপি শাসিত সরকারের পক্ষে নোট বাতিলের কারণ হিসেবে বিদেশে কালো টাকা উদ্ধার এবং ভারতীয় জাল টাকা প্রতিরোধের কথা বলা হয়।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/