প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০২৩, ০১:৫৯ এএম
রাজধানীতে পাইকারিতে ডাবের দাম কমলেও এর প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারে। এখনো ১৫০ টাকার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ডাব। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) জাতীয় ভোক্তা অধিকারের অভিযানে জরিমানা করা না হলেও দোকানগুলোতে বিক্রয়মূল্য টাঙানো বাধ্যতামূলক করা হয়।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) পাকা রশিদ থাকার বিষয়টি মাঠ পর্যায়ে তদারকির জন্য মাঠে নামে সংস্থাটি। এদিন ঢাকা মেডিকেলের গেটে অভিযান চালানো হয়। এসময় বেশ কিছু অনিয়ম পেলেও জরিমানা করা হয়নি।
অভিযানকালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, আমরা অবশ্যই পাকা রশিদ রাখার নির্দেশ দিয়েছি। বর্তমানে আমাদের মূল কাজ হচ্ছে আড়ত পর্যায়ের সঙ্গে খুচরা পর্যায়ের মূল্য পার্থক্য মিলিয়ে দেখা।
ডাবের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রতিদিনই অভিযান চলবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
এসময় এক ক্রেতা অভিযোগ করেন, এক ডাব বিক্রেতার তার কাছে বাড়তি দামে ডাব বিক্রি করেছেন। তিনি বলেন, ‘আজ সকাল ৯ টায় আমি ডাব কিনেছি। তখন আমার কাছে প্রতিটি ডাব ১২০ টাকা দরে রাখা হয়। সে সময়ে এই মূল্য তালিকা টানানো ছিল না।’
এতে ডাবের দাম নিয়ে শুরু হয় ক্রেতা-বিক্রেতার তর্ক বিতর্ক। সেই বিক্রেতা বলেন, ‘আমি ১২০ টাকা দরে ডাব বিক্রি করিনি।’ যার প্রেক্ষিতে ক্রেতা বলেন, ‘তিনি মিথ্যে বলছেন। আমি প্রতি পিস ১২০ টাকা দিয়েই কিনেছি।’
সুতরাং, অভিযানের খবরে দাম কমলেও অভিযানের পরপরই পাল্টে যায় চিত্র।
ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার মধ্যে নানা অজুহাতে দেশে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে ডাবের দাম। টালমাটাল ডাবের বাজার নিয়ন্ত্রণে এরইমধ্যে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এতে সিদ্ধান্ত আসে ডাব কেনাবেচায় রাখতে হবে পাকা রশিদ।
সোমবার (২৮ আগস্ট) জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিকার অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে ডাব ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আয়োজিত সভায় সংস্থাটির মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ডেঙ্গুকে পুঁজি করে ধাপে ধাপে বাজারকে অস্থির করা হচ্ছে। বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত দেশব্যাপী অভিযান চলবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ডাব বিক্রিতে পাকা রশিদ দেখতে চাই। সেই সঙ্গে মূল্য তালিকাও টাঙাতে হবে।
ভোক্তা অধিকারের এমন সিদ্ধান্তে পাইকারি দোকানগুলোতে ডাবপ্রতি প্রায় ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৭০ টাকায়। তবে খুচরা বাজারে গিয়ে তার প্রভাব দেখা যায়নি।
দাম না কমার বিষয়ে এক বিক্রেতা বলেন, ডাবের দাম কমাতে হলে আড়তে যেতে হবে। আড়তে কমালে আমরা কমাতে পারবো।
খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পাইকারদের চাঁদা আর সিন্ডিকেটের ফাঁদে পরে ডাব প্রতি খরচ বেড়ে যায় ১০ টাকা। এক খুচরা বিক্রেতা বলেন, ১০০ পিস বিক্রি করলে আড়তদারদের ৪০০ টাকা চাঁদা দিতে হয়।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/