প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২৩, ০৫:৪৯ পিএম
আর দুমাসেরও কম সময়ে পূর্ণাঙ্গরূপ পাবে পায়রা বন্দর। এর আগেই এ থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে এক হাজার কোটি টাকার মতো। এতে রয়েছে বিদেশি বিনিয়োগেরও বিপুল সম্ভাবনা। গভীর এ সমুদ্র বন্দর দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে রাখবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। শুধু তাই নয়, এতে দেশের গোটা অর্থনীতিতেও আমূল পরিবর্তনের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রাম ও মোংলার চাপ কমাতে দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রার নির্মাণ কাজ শুরু করা হয় ২০১৩ সালে। পটুয়াখালীর রামনাবাদ নদী তীরে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে তিল তিল করে গড়ে তোলা হচ্ছে বন্দরটি। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে ক্যাপিটাল ড্রেজিং। প্রথম জেটি নির্মাণ ও আনুষঙ্গিক কাজও শেষের পথে। আগামী অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করলেই শুরু হবে এর পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বন্দরটি চালু হলে দেশের অর্থনীতিতে উন্মোচিত হবে নতুন দিগন্ত। একে ঘিরে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে গড়ে ওঠবে শিল্প ও কল-কারখানা। শুধু দেশি নয়, বিদেশি বিনিয়োগেরও রয়েছে অপার সম্ভাবনা। সরকারের পক্ষ থেকে নেপাল ও ভারতসহ বাইরের কয়েকটি দেশকে এ বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে এ অঞ্চলে শুরু হয়েছে বিনিয়োগ। এ বন্দর দিয়ে গাড়ি, খাদ্যপণ্য, সার ও সিমেন্টসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি ছাড়াও চলবে দেশের রফতানি বাণিজ্য।
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল গোলাম সাদেক বলেন, ‘রফতানিমুখী পণ্য যারা তৈরি করবেন কিংবা আমদানিনির্ভর যে বাণিজ্য হবে, সে কার্যক্রম চলানোর জন্য এখানে ধীরে ধীরে শিল্প ও কল-কারখানা গড়ে উঠবে বলে আমরা আশা করছি।’
পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু না হলেও গেলো ৭ বছর ধরে বন্দরটির জেটিতে সীমিত পরিসরে চলছে পণ্য খালস। আর এতে রাজস্ব আয় হয়েছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। তবে এতদিন কয়লা এবং পাথর খালাসে সীমাবদ্ধ থাকলেও জেটি উদ্বোধনের পর বন্দর দিয়ে আমদানি শুরু হবে অন্যান্য পণ্যের।
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন এস এম শরিফুর রহমান বলেন, ’সবাই এখন আসছে শুধু জাহাজ আনার জন্য। কেবল কয়লার মধ্যে আমরা সীমাবদ্ধ থাকবো না। বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পায়রা বন্দর নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান বলেন, ‘পায়রা হলো এমন একটি বন্দর, যেটা বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, পায়রা বাস্তবায়ন হলে এতে স্মাট বাংলাদেশের প্রতিফলন হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
এক নজরে পায়রা বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
সীমিত পরিসরে এ বন্দরে পণ্য খালাস শুরু হয় ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট। গত ৭ বছরে এ বন্দরে এক হাজার ৭৯৮টি জাহাজ এসেছে। এর মধ্যে বিদেশি জাহাজের সংখ্যা ৩৩৯টি। এ পর্যন্ত পায়রার রাজস্ব আয় হয়েছে ৯৩৫ কোটি টাকা।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/