• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

এবার চিনি রফতানি নিষিদ্ধের কথা ভাবছে ভারত

প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২৩, ০৬:১৫ পিএম

এবার চিনি রফতানি নিষিদ্ধের কথা ভাবছে ভারত

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চাল ও পেঁয়াজের পর এবার চিনি রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে ভারত। এটি কার্যকর হলে সাত বছরের মধ্যে প্রথম দেশটি থেকে চিনি রফতানি বন্ধ হয়ে যাবে।

সরকারি তিনটি সূত্রের বরাতে আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, চলতি বছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া আসন্ন মৌসুমে চিনি রফতানি নিষিদ্ধ করতে পারে ভারত। মূলত পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের অভাবে আখের ফলন কমে যাওয়ায় বিগত সাত বছরের মধ্যে প্রথমবার রফতানি বন্ধের পরিকল্পনা করছে দেশটি।

এরই মধ্যে বিগত কয়েক বছরের মধ্যে বিশ্ববাজারে চিনির দাম বাড়তি। এখন যদি ভারত চিনি রফতানি বন্ধ করে দেয়, তাহলে নিউইর্য়ক এবং লন্ডন বেঞ্চমার্কে পণ্যটির দাম আরও বাড়তে পারে। কাজেই এতে বিশ্বজুড়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘দেশের অভ্যন্তরে চিনির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি উদ্বৃত্ত আখ থেকে ইথানল তৈরি করাই হচ্ছে আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য। এতে আসন্ন মৌসুমে রফতানি বরাদ্দের জন্য আমাদের কাছে পর্যাপ্ত চিনি থাকবে না।’

গত মৌসুমে রেকর্ড ১১.১ মিলিয়ন টন চিনি রফতানির অনুমোদন দিয়েছিল ভারত। বিপরীতে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে শেষ হতে যাওয়া মৌসুমে মাত্র ৬.১ মিলিয়ন টন চিনি রফতানির অনুমতি দেয় দেশটি।

এর আগে, ২০১৬ সালে রফতানি নিরুৎসাহিত করতে চিনি রফতানির ওপর ২০ শতাংশ কর আরোপ করে ভারত সরকার।

ভারতের মোট আখ উৎপাদনের অর্ধেকের বেশিই উৎপাদিত হয় দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকে। কিন্তু ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগের তথ্য বলছে, এ বছর এখন অবধি এসব রাজ্যের শীর্ষ আখ উৎপাদনকারী জেলাগুলোতে গড় পরিমাণের চেয়ে ৫০ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিল্প কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় ২০২৩-২০২৪ মৌসুমে চিনির উৎপাদন কমে যাবে। এমনকি ২০২৪-’২৫ মৌসুমে আখ চাষের পরিমাণও কমবে।’

এ সপ্তাহে ভারতের স্থানীয় বাজারে চিনির দাম বেড়ে প্রায় ২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে উঠে গেছে। ফলে আগস্টে চিনির মিলগুলোকে বাড়তি দুই লাখ মেট্রিক টন চিনি বিক্রি করতে বলেছে সরকার।

এ বিষয়ে সরকারি আরেকটি সূত্র বলেছে, খাদ্য মূল্যস্ফীতি এখন একটি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে চিনির দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে এর রফতানির সম্ভাবনাও কমছে।

জুলাইয়ে ভারতের রিটেইল মূল্যস্ফীতি ১৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭.৪৪ শতাংশ এবং খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১১.৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা বিগত ৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

২০২৩-’২৪ মৌসুমে দেশটির চিনির উৎপাদন ৩.৩ শতাংশ কমে ৩১.৭ মিলিয়ন টনে নেমে আসতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করে রয়টার্স।

সরকারের তৃতীয় সূত্র বার্তা সংস্থাটিকে জানিয়েছে, ‘আমরা গত দুই বছর মিলগুলোকে প্রচুর পরিমাণে চিনি রফতানির অনুমতি দিয়েছি। কিন্তু এখন আমাদের স্থানীয় বাজারে পর্যাপ্ত চিনির সরবরাহ ও এর স্থিতিশীল দাম নিশ্চিত করতে হবে।’

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

 

জেকেএস/

অর্থ ও বাণিজ্য সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ