• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর

শুল্ককর বৃদ্ধিতে পাথর আমদানি বন্ধ, বিপাকে শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৩, ০৭:৪২ পিএম

শুল্ককর বৃদ্ধিতে পাথর আমদানি বন্ধ, বিপাকে শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে বিদেশি মালামাল আমদানিতে শুল্ককর বৃদ্ধি করায় বন্ধ রয়েছে পাথর আমদানি। এতে বিপাকে পড়েছেন শ্রমিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। স্থলবন্দর ইয়ার্ডসহ পুরো এলাকাজুড়ে নেমেছে স্থবিরতা।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দেশের সড়ক পথের একমাত্র চার দেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধায় সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, পহেলা আগস্ট থেকে সরকারিভাবে স্থলবন্দর শুল্ক বিভাগ বিদেশি মালামাল আমদানির ক্ষেত্রে অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু টন প্রতি ১২ ডলারের পরিবর্তে ১৩ ডলার করেছে। এতে ২২ দিন ধরে পঞ্চগড়ে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে।

এদিকে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়ে সংকটে পড়েছে বন্দর এলাকার দোকান ব্যবসায়ী, ট্রাক ও অটোরিকশা চালকরা। দ্রুত সমস্যা সমাধানে সরকারের সহায়তা কামনা সকলের।

শ্রমিক হাবলু সিটি নিউজ ঢাকাকে বলেন, ‘একমাত্র এ বন্দরের ওপর আমরা নির্ভরশীল। এলাকায় অন্য কাজ না থাকায় এ কাজে যুক্ত হয়েছি। কিন্তু বন্দরে আমদানি না হওয়ায় গত ২২ দিন ধরে বেকার সময় কাটাচ্ছি।’

খাইরুল ইসলাম নামে আরেক শ্রমিক বলেন, ‘বন্দরে কাজ করে পরিবার চালাই। কিন্তু বন্দরে একের পর এক সমস্যায় খুবই বিপাকে পড়তে হচ্ছে। আয় রোজগার হচ্ছে না। পরিবার নিয়ে মানবেতর দিন যাপন করতে হচ্ছে।’

একই কথা জানান বন্দর এলাকার ব্যবসায়ী, ট্রাক ও ইজিবাইক চালকরা।

এদিকে লোকসানসহ আর্থিক সমস্যার কথা জানিয়ে ব্যবসায়ীরা জানায়, বাড়তি শুল্ককর প্রত্যাহার না করায় বন্ধ রয়েছে পাথর আমদানি। অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু পূর্বের দাবিতে আমদানি থেকে পিছু হেঁটেছেন তারা।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি-রফতানি গ্রুপের সভাপতি আব্দুল লতিফ তারিন বলেন, ‘অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু বাড়ানোর কারণে আমদানিকারকদের খরচ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। লোকসানে পড়ে তারা আমদানি বন্ধ রেখেছে। এই সমস্যা সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’

এদিকে বাংলাবান্ধা ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ভারত ও ভুটানের মাঝে স্লট বুকিং ফি বাবদ চলা দ্বন্দ্বের পর জুলাইয়ের শেষের দিকে ভারত থেকে কিছু সংখ্যক পাথর আমদানি হলেও আবারও বন্ধ হয়ে যায় কার্যক্রম। এতে বন্দর সংশ্লিষ্ট প্রায় সবাই কর্মহীন সময় পার করছে।’

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা তাপোস কুমার সাহা বলেন, ‘সরকারিভাবে শুল্ককর বৃদ্ধি হয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে ভারত ও ভুটানের মাঝে স্লট বুকিং নিয়ে ঝামেলার পর ভুটান পাথর দেয়া বন্ধ রাখলে ভারত থেকে আমদানি শুরু করে আমদানিকারকরা।’

তবে কি কারণে নতুন করে পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে তার সদুত্তর দিতে পারেননি এ রাজস্ব কর্মকর্তা।

পাথর নির্ভরশীল এই বন্দরে আগে বোল্ডার পাথর আমদানিতে টন প্রতি ১২ ডলার অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু গ্রহণ করা হলেও, নতুন করে সরকারি নির্দেশে গত ১ আগস্ট থেকে প্রতি টনে মূল্য ১ ডলার বৃদ্ধি করে ১৩ ডলার করা হয়েছে। এর পর থেকে আমদানিকারকরা এ বন্দরে পাথর আমদানি বন্ধ রাখে।

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

 

জেকেএস/

আর্কাইভ