• ঢাকা শুক্রবার
    ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

অস্থির ডিমের বাজার, উৎপাদন খরচ ১১, বিক্রি ১৫ টাকায়

প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৩, ০১:৪৩ এএম

অস্থির ডিমের বাজার, উৎপাদন খরচ ১১, বিক্রি ১৫ টাকায়

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

একটি ডিমের উৎপাদন খরচ সর্বোচ্চ ১১ টাকা হলেও বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা পর্যন্ত। এতে বাজারে এসে হিমশিম অবস্থা ক্রেতাদের। বাজারে অস্থিরতা কমাতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর মাঠে নামলেও ডিমের দাম বাড়ার কারণ প্রকাশ্যে অনীহা সংস্থাটির।

সপ্তাহখানেক ধরে অস্থির ডিমের বাজার। সপ্তাহ ব্যবধানে এক ডজন ডিমের দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়ে ঠেকেছে ১৬৫ টাকায়।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, ৬ থেকে ৭ দিন ধরে প্রতি ১০০ পিস লাল ডিম কিনতে খরচ হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকায। আর প্রতিহালি ডিম ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

ডিমের বাড়তি দামের বিষয়ে খামারি ও আড়তদারদের বিরুদ্ধে দোষ চাপান খুচরা ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, এখন প্রতিহালি ডিমের পাইকারি দাম ৫২ থেকে ৫৩ টাকা হওয়ায় বাধ্য হয়ে খুচরা পর্যায়ে ডিম ৫৫ টাকা হালিতে বিক্রি করতে হচ্ছে।

ডিমের বাড়তি দামের কারণ খুঁজে বের করতে দিনে-রাতে খুচরা-পাইকারি-আড়তে অভিযান চালাচ্ছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এর অংশ হিসেবে শনিবার (১২ আগস্ট) সকালে রাজধানীর কাপ্তান বাজারে ডিমের আড়তে অভিযান পরিচালনা করে সংস্থাটি।

এ সময় কেনা ও বিক্রি দাম সংরক্ষণ না করে ভোক্তাকে প্রতারিত করার অভিযোগে তিনটি আড়তকে করা হয় জরিমানা। তবে দাম বাড়ার কারণ পেলেও তা গণমাধ্যমে জানায়নি সংস্থাটি।

অভিযান শেষে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল গণমাধ্যমকে বলেন, যে যে কারণ ডিমের দাম বাড়ানোর জন্য দায়ী, সেগুলো স্পষ্ট করে প্রতিবেদনে উল্লেখ করে জানানো হবে।

এ মুহূর্তে উৎপাদন খরচ সর্বোচ্চ ১১ টাকা। তবে খামার থেকে বাজার পর্যন্ত এই ব্যবসায় জড়িত সবাই যদি যৌক্তিক লাভ করেন, তাহলে ভোক্তা পর্যায়ে একটি ডিমের দাম সর্বোচ্চ কত হতে পারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ বলেন, বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের হিসাব অনুসারে একটি ডিমের উৎপাদন খরচ পড়ে পৌনে ১১ টাকা বা ১১ টাকা। এখন খামারিরা ৫০ পয়সা থেকে ৭৫ পয়সা মুনাফা করতে পারেন। তাহলে ফার্ম গেট থেকে ডিম সাড়ে ১১ টাকায় বিক্রি হয়।

ডিমের দাম কোনোভাবেই ১৫ টাকা হওয়ার কথা না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, খামারিদের বুঝতে হবে, কেউ অতিরিক্ত লাভ করে কোনো দিন টিকতে পারে না। ডিমের দাম সর্বোচ্চ ১৩ থেকে সাড়ে ১৩ টাকা হওয়া উচিত।

শামসুল আরেফিন বলেন, নিশ্চয়ই সরবরাহ ব্যবস্থার কোথাও না কোথাও অতিরিক্ত মুনাফা করা হচ্ছে। খামারিদের কত টাকা মুনাফা করা উচিত এই বিষয়টি নিয়ে সরকারের খামারিদের সঙ্গে বসা উচিত।

এদিকে বাজার তথ্য বলছে, গত বছরের আগস্টেও অস্থির হয়ে উঠেছিল ডিমের বাজার। সে সময় ১৮০ টাকা পার হয়েছিল এক ডজন লাল ডিমের দাম।

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

 

জেকেএস/

আর্কাইভ