• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
‘৩০ আন্ডার ৩০ লোকাল টরন্টো’

ফোর্বসের তালিকায় বাংলাদেশি নবনীতা

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২৩, ০৩:০০ এএম

ফোর্বসের তালিকায় বাংলাদেশি নবনীতা

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রথমবারের মতো ‘৩০ আন্ডার ৩০ লোকাল টরন্টো’ তালিকা প্রকাশ করেছে ‘ফোবর্স’। এ তালিকায় একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে স্থান পেয়েছেন কানাডা প্রবাসী গবেষক ও উদ্যোক্তা নবনীতা নাওয়ার।

বুধবার (৯ আগস্ট) কানাডার টরন্টোর অনূর্ধ্ব ৩০ বছর বয়সী ৩০ তরুণ নেতার এ তালিকা প্রকাশ করে ‘ফোবর্স’।

এতে বলা হয়েছে, এইচডিএক্স থেরাপিউটিকসের সহপ্রতিষ্ঠাতা কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশি নবনীতা নাওয়ার ‘৩০ আন্ডার ৩০ লোকাল টরন্টো’ তালিকায় স্থান পেয়েছেন। এ তালিকায় নবনীতার সঙ্গে এইচডিএক্স থেরাপিউটিকসের আরেক সহপ্রতিষ্ঠাতা থাই বংশোদ্ভূত পিমুয়াপা মানসিয়ংকুলও রয়েছেন। দুজনের বয়সই ২৮ বছর।

১৯৯৪ সালের ১১ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন নবনীতা। ১০ বছর আগে কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পড়ার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান। বর্তমানে এইচড্যাক্স থেরাপিউটিকসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নবনীতা।

প্রতিবেদনে ফোবর্স জানায়, প্রথমবারের মতো পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথির (পিএন) চিকিৎসা বা ওষুধের উন্নয়ন করছে এইচড্যাক্স থেরাপিউটিকস। এটি  বিশ্বের প্রায় ৩০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের উপকারে আসবে। মূলত ক্যানসার চিকিৎসার জন্য নেয়া কেমোথেরাপি, ডায়াবেটিস, কোনো আঘাত বা জিনগত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত স্নায়ুর কারণে ব্যথা, বোধহীনতা, পক্ষাঘাত ও চলনহীনতায় ভোগেন পিএন রোগীরা। তবে এখনো এই রোগের কোনো ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি।

শিগগিরই পিএন রোগের ওষুধ তৈরির আশা দেখাচ্ছে এইচড্যাক্স থেরাপিউটিকস। এ বিষয়ে ফোবর্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৫ সালের প্রথম দিকে রোগীদের আশা জাগানোর মতো ওষুধ তৈরি করার লক্ষ্যে কাজ করছে এইচড্যাক্স। ক্যানসার গবেষণার সেরা ক্লিনিকগুলোর সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে নারী নেতৃত্বে চলা দলটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা পিএন রোগীদের জীবন সহজ করে তুলতে কাজ করছে।

উল্লেখ্য, পাঁচ বছরের গবেষণার পর ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এইচড্যাক্স। যা পিএচডি ডিগ্রিধারী উদ্যোক্তাদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে নতুন ওষুধ আবিষ্কারের জন্য আট লাখ মার্কিন ডলার তহবিল সংগ্রহ করেছে সংস্থাটি।

‘৩০ আন্ডার ৩০ লোকাল টরন্টো’ তালিকা সম্পর্কে ফোর্বস জানিয়েছে, ৩০ বছরের কম বয়সী টরন্টোর ৩০ তরুণ নেতাদের সমন্বয়ে এ তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তালিকায় স্থান প্রাপ্তদের কেউ শহরে নিরাপদ ড্রোন চলাচলে সহায়তা করেন, কেউ উচ্ছিষ্ট খাবার প্লাস্টিকের বিকল্প বানান, কেউবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে লেখা শনাক্তকারী নির্মাণসামগ্রী তৈরি করে থাকেন।

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

 

জেকেএস/

আর্কাইভ