প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২৩, ০৩:১১ এএম
গাঁজা ব্যবসায় কালোবাজারি মরক্কোর জন্য নতুন কিছু না। কিন্তু এবার আইনসিদ্ধভাবে গাঁজা চাষ শুরু করেছে আফ্রিকার দেশটি। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, ইউরোপের বাজারে বড় রকমের প্রভাব ফেলতে সক্ষম হবে এই গাঁজা চাষ।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এতদিন বেআইনিভাবে দেশটির কৃষকরা গাঁজা চাষ করে আসলেও, এবার সরকার থেকে লাইসেন্স নিয়ে গাঁজা চাষ করতে পারবেন তারা। ইউরোপের বাজারে মরক্কোর হাশিশের আকাশচুম্বী চাহিদা থাকায় ধারণা করা হচ্ছে, কেবল গাঁজাই দেশটির অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
চলতি বছরে জুন মাস থেকে দেশটি গাঁজা চাষ শুরু করেছে। এরইমধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কৃষককে গাঁজা চাষের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। মূলত প্রাথমিক পর্যায়ে মেডিকেল এবং শিল্পপণ্য হিসেবে গাঁজা চাষের বৈধতা দিয়েছে মরক্কো সরকার।
দেশটির মৌলাই ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক খালিদ মাউনা বলেন, শত বছর ধরে এই এলাকায় গাঁজা চাষ হয়ে আসছে। এটি এতদিন বন্ধ ছিল। কিন্তু এবারের পদক্ষেপে আনুষ্ঠানিকভাবে আইনসিদ্ধতা পেল গাঁজা চাষ।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার কৃষক ও কোম্পানিগুলোকে গাঁজা চাষের বৈধতা দিয়ে লাইসেন্স দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত গাঁজা উৎপাদনে মরক্কোর লক্ষ্যমাত্রা কত কিংবা কতটুকু এলাকাজুড়ে গাঁজা চাষ করা হবে; সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
গাঁজা চাষ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গবেষণা করেন আদারাখ শরিফ। তিনি বলেন, যদিও সরকার বলছে আনন্দ কিংবা নেশার জন্য নয়, ওষুধি কাজে গাঁজা ব্যবহার হবে; তবুও এ আইনের বড় সুবিধা পাবে মাদক কারবারিরা। এর আগে গাঁজা উৎপাদন ছিল ব্যয়বহুল। আইনসিদ্ধ হওয়ায় এবার খরচ কমে আসবে বলে জানান তিনি।
এর পাশাপাশি এবার গাঁজা চাষে কৃষকরা আগের থেকে কয়েকগুণ বেশি লাভ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরক্কোর গাঁজা এবার ইউরোপের স্পেন, নেদারল্যান্ডস, জার্মানিসহ অন্যান্য দেশেও আধিপত্য দেখাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ব্যবসা বিশ্লেষকরা বলছেন, যদিও মরক্কোর আশা ওষুধশিল্পে নিজেদের একটি জায়গা তৈরি করা। সারা বিশ্বে ওষুধ হিসেবে গাঁজা বিক্রি হয় ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের। তবে এর বাইরে বিনোদনের খোরাক হিসেবে গাঁজা বিক্রির পরিমাণ অনেক বেশি। মরক্কো যতই বলুক গাঁজাকে তারা ওষুধ ও শিল্পপণ্য হিসেবে ব্যবহার করবে; কিন্তু দিনশেষে বিনোদনের খোরাক হিসাবে ইউরোপের বাজারে মরক্কোর গাঁজা আলাদা স্থান দখল করতে পারবে বলে মত বিশ্লেষকদের।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/