প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২৩, ০৩:০৫ এএম
উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে স্মার্ট এভিয়েশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
সোমবার (৩১ জুলাই) যশোর বিমানবন্দরের নবনির্মিত টার্মিনাল ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
মাহবুব আলী বলেন,
সরকারের লক্ষ্য বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পকে স্মার্ট এভিয়েশন শিল্পে রূপান্তর করা। বাংলাদেশকে বিশ্বের অন্যতম এভিয়েশন হাবে পরিণত করার জন্য সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই লক্ষ্যকে সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। দেশের স্মার্ট এভিয়েশন শিল্প উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, গত সাড়ে চৌদ্দ বছরে অর্থনীতি, ব্যাবসা-বাণিজ্য, শিল্প, বিনিয়োগ, কৃষি, অবকাঠামো, রাস্তাঘাট, মৎস্য-প্রাণী সম্পদ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষা, এভিয়েশন ও পর্যটনসহ দেশের প্রতিটি খাত উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে গেছে। বাংলাদেশের এই উন্নয়ন জনগণের জীবনমান উন্নত করার পাশাপাশি সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের নীতিগত সমর্থনের কারণে দেশের এভিয়েশন খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের এভিয়েশন শিল্পের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, কারিগরি ও জন দক্ষতা উন্নয়ন এবং সময়োপযোগী আইন ও নীতি প্রণয়নের ফলে দেশের এভিয়েশন শিল্প দ্রুত প্রবৃদ্ধি লাভ করছে। বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন মার্কেট প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী ১৫ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরের প্রবৃদ্ধি হবে প্রায় তিনগুণ।‘
দেশের সব বিমানবন্দরে যাত্রী সেবার মানোন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যাত্রীদের জন্য নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে বলেও জানান মাহবুব আলী। তিনি বলেন, ‘এর অংশ হিসেবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এয়ারফিল্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এবং ১৯৬০ সালে অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু করা যশোর বিমানবন্দরে গত সাড়ে চৌদ্দ বছরে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে। এর অপারেশনাল কার্যক্রমও বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণ।’
তিনি আরও বলেন, নতুন এই নান্দনিক টার্মিনাল নির্মাণের ফলে এই এলাকার জনগণ ও বিমানবন্দর ব্যবহার করে যাতায়াতকারী যাত্রীরা বিমান যাত্রায় এখন থেকে আরও উন্নত ও আধুনিক সেবা পাবেন। এই অঞ্চলের পর্যটন শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রসারেও ভূমিকা রাখবে এই বিমানবন্দর।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত প্রকল্পের মাধ্যমে এই নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণের ফলে যশোর বিমানবন্দর বছরে ১ মিলিয়ন যাত্রী ব্যবস্থাপনা করার সক্ষমতা অর্জন করবে। নতুন টার্মিনাল ভবনে রয়েছে ৮ টি চেক-ইন কাউন্টার, ৫ টি ল্যাগেজ স্ক্যানিং মেশিন, ৫ টি আর্চওয়ে, ভিআইপি লাউঞ্জ ও কার পার্কিং।
এছাড়াও এই প্রকল্পের অধীনে রানওয়ে লাইটিং সিস্টেম উন্নয়ন, বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন ও আবাসিক ভবন নির্মাণ, কার্গো এয়ারক্রাফট পার্কিং, এপ্রোন সম্প্রসারণ ও ট্যাক্সিওয়ে নির্মাণ, পানি শোধনাগার নির্মাণ, যোগাযোগ ও নিরপত্তা যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/