প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২৩, ০২:০৭ এএম
তিনদিন উত্থান আর দুদিন দরপতনের মধ্যে দিয়ে জুলাই মাসের আরও একটি সপ্তাহ পার করেছে পুঁজিবাজার। আলোচিত সপ্তাহে দাম বাড়ার বিপরীতে কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার। ফলে কমেছে দেড় হাজার কোটি টাকার লেনদেন।
দুই বাজারে মধ্যে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন কমেছে ১ হাজার ৪৭৮ কোটি টাকা। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কমেছে ৩১ কোটি টাকা।
লেনদেন কমলেও বিমা খাতের শেয়ারের দামের পাশাপাশি বেশকিছু কোম্পানির শেয়ারে দাম বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন (পুঁজি) বেড়েছে ১০০ কোটি ৯১ লাখ ৬৩ হাজার ৩৪২ টাকা। তবে দেশের অপর পুঁজিবাজার সিএসইতে বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন (পুঁজি) কমেছে ৯৪ কোটি ৬২ লাখ ৩ হাজার টাকা। সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে এ চিত্র দেখা গেছে।
ডিএসইর তথ্য মতে, গত ২৩ জুলাই সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৭৯৭ কোটি ৯১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। আর শেষ দিন বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) লেনদেন শেষে মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৮৯৮ কোটি ৮২ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। অর্থাৎ টাকার অংকে পুঁজি বেড়েছে ১০০ কোটি ৯১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪২ টাকা। এর আগের সপ্তাহে পুঁজি ফিরেছিল ২ হাজার ৬০২ কোটি ৪০ লাখ ২৯ হাজার ১৮৮ টাকা। তবে তার আগের সপ্তাহে পুঁজি কমেছিল ১০ হাজার ১৩৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস ২৩, ২৪ এবং ২৫ জুলাই সূচক পতনের মধ্যদিয়ে লেনদেন হয়েছে। তবে তারপর দুদিন ২৬ ও ২৭ অর্থাৎ বুধ ও বৃহস্পতিবার সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পতনের মধ্যদিয়ে লেনদেন হয়েছে উভয় পুঁজিবাজারে।
সপ্তাহটিতে বাজারে লেনদেন হয়েছে মোট ৩৮৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন। এর মধ্যে ৫০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, তার বিপরীতে কমেছে ১৩৫টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২০৩টির। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল ১১৮টির, কমেছিল ৭৯টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৯৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ২৬ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩৩৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক ৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৭৩ পয়েন্টে ও ডিএস-৩০ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩৬ দশমিক ৯২ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৫৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ২৫৬ কোটি ৬৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ৭৩৫ কোটি ৪১ লাখ ৩১ হাজার ৫১৬ টাকা। অর্থাৎ ১ হাজার ৪৭৮ কোটি ৭২ লাখ ৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন কমেছে, শতাংশের হিসাবে যা ৩১ দশমিক ২৩ শতাংশ।
গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ফুয়াং ফুডের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে লেনদেন হয়েছে, রয়েল টিউলিপ সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ, জেমিনি সি ফুড, রূপালী লাইফ ইনস্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি, রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস, লিগেসি ফুটওয়্যার, আলিফ ইন্ট্রাস্টিজ এবং ডেল্টা লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেডের শেয়ার।
দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কিছুটা ইতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক ৬১ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৭৭১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এসময়ে লেনদেন হয়েছে ৪৯ কোটি ৩৭ লাখ ২২ হাজার ৯ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৮০ কোটি ১৩ লাখ ২১ হাজার ৮৪৭ টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৩টির, কমেছে ১০০টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
বিএস/