• ঢাকা রবিবার
    ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বৃষ্টিতে ১০ শতাংশ চামড়া নষ্ট হতে পারে, শঙ্কা ব্যবসায়ীদের

প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২৩, ০১:২৬ এএম

বৃষ্টিতে ১০ শতাংশ চামড়া নষ্ট হতে পারে, শঙ্কা ব্যবসায়ীদের

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বৃষ্টির কারণে চলতি বছর ৫ থেকে ১০ শতাংশ চামড়া নষ্ট হতে পারে বলে শঙ্কা জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) চেয়ারম্যান মো. শাহীন আহমেদ বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ শঙ্কার কথা জানান।

শাহীন আহমেদ বলেন, 

বৃষ্টির কারণে ৫ থেকে ১০ শতাংশ চামড়া অবশ্যই নষ্ট হবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যবসায়ীরা যেয়ে চামড়াগুলো সঠিক সময়ে সংরক্ষণ না করলে সেখানেও চামড়া নষ্টের সম্ভাবনা রয়েছে।

এ ছাড়া লালবাগসহ রাজধানীতে কোরবানির চামড়া কেনাবেচার জন্য পরিচিত স্থানে ক্রেতা-বিক্রেতাদেরকে বাধা না দেয়ার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছেন বিটিএ চেয়ারম্যান।

আর বৃষ্টির কারণে চামড়ার মান দ্রুত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় রাত ১০টার মধ্যে বেচাকেনা শেষ করে তা সংরক্ষণ করার করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন।

এদিকে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে সায়েন্স ল্যাব মোড়ে কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে আসেন সংগ্রহকারীরা। দাম পাওয়া, না পাওয়া নিয়ে বিক্রেতারা জানান মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

তারা বলেন, কেউ কেউ ভালো দামে বিক্রি করলেও; অনেকেই বেশ সস্তায় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। মূলত ক্রেতাদের পাশাপাশি মূল্যবান এই সম্পদ সংগ্রহের সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাব এ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।

এক চামড়া বিক্রেতা নাজমুল জানান, চামড়ার নায্য দাম মিলছে না। বড় সাইজের গরুর প্রতি পিস চামড়া ৮০০ টাকা ও মাঝারি সাইজের গরুর প্রতিপিস চামড়া ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে যারা দেশের সবচেয়ে বড় চামড়ার আড়ৎ পুরান ঢাকার পোস্তায় মূল্যবান এই সম্পদ বিক্রি করতে আসছেন; তাদের কেউ কেউ জানান ভালো দাম পাওয়ার কথা। আবার অনেকের দাবি, পড়তে হচ্ছে লোকসানের মুখে।

বিক্রেতাদের দাবি নাকচ করে হিসাব কষেই সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া কেনার দাবি ক্রেতার। তারা বলেন, বৃষ্টির কারণে পর্যাপ্ত চামড়া আসছে না। বড় চামড়া ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় কেনা হচ্ছে। এখানে সিন্ডিকেটের কোন সুযোগ নেই।

আর ভালো দাম না পাওয়ার জন্য যেমন ট্যানারি মালিক বা চামড়ার আড়ৎদার ও পাইকারদের দোষ দিচ্ছেন তেমনি বছরের এই একটি দিনে বড় পরিসরে চামড়া সংগ্রহে অব্যবস্থাপনা আর সররকারের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন বিক্রেতারা।

উল্লেখ্য, বছরজুড়ে দেশের ট্যানারিতে দরকারি চামড়ার অর্ধেক সংগ্রহ করা হয় কোরবানির ঈদে। আর চলতি বছর ৮৫ থেকে ৯০ লাখ পিস চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য রয়েছে বিটিএর।

 

জেকেএস/

আর্কাইভ