প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২৩, ০৩:০৩ এএম
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বেড়েছে ফ্রিজ বিক্রি। বিশেষ করে ফ্রিজার বা ডিপ ফ্রিজের চাহিদা বেড়েছে। কোরবানির পশুর মাংস সংরক্ষণের লক্ষ্য নিয়ে ক্রেতারা ইলেকট্রনিক্সের দোকানে ভিড় করছেন।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ব্র্যান্ডের শোরুম ও দোকান ঘুরে জানা গেছে, কোরবানির ঈদের প্রভাবে ফ্রিজের বিক্রি বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গরম ও কোরবানির ঈদে ফ্রিজের পাশাপাশি এসির চাহিদা বাড়ে। গত কিছুদিনে গরম কমে যাওয়ায় এসি বিক্রিতে কিছুটা ভাটা পড়েছে। তবে ফ্রিজের চাহিদা বেড়েছে। কারণ এসময়ে মানুষের হাতে বেতন ও বোনাসসহ বাড়তি কিছু টাকা আসে। ফলে তারা নিজের ঘরের জন্য একটু অতিরিক্ত খরচ করতে চান। আমাদেরও বাড়তি প্রস্তুতি রয়েছে।
ঈদকেন্দ্রিক ফ্রিজ বেচাকেনায় সব শ্রেণির ক্রেতাকে লক্ষ্য রেখে ডিসকাউন্ট ও ক্যাশ ব্যাক অফারসহ বিভিন্ন অফার দিচ্ছে কোম্পানিগুলো। যেমন ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্যের বাজারে গত কয়েক বছর ধরেই নেতৃত্ব দিয়ে আসছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড ওয়ালটন। দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত মানুষের পছন্দের তালিকায় এগিয়ে রয়েছে কোম্পানিটি।
ক্রেতা ধরতে ফ্রিজ, এসি কিংবা টেলিভিশনে চলছে বাড়তি অফার। কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে সারা দেশে চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১৮। এ ক্যাম্পেইনের আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক, শোরুম কিংবা অনলাইনের ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ব্লেন্ডার, গ্যাস স্টোভ, রাইস কুকার ও ফ্যান কিনে ক্রেতারা পেতে পারেন গাড়ি ও ক্যাশব্যাক পুরস্কার। এছাড়া সব পণ্যের ওপর চলছে ১০ শতাংশ ডিসকাউন্ড অফার।
এ বিষয়ে ওয়ালটনের চিফ বিজনেস অফিসার তোফায়েল আহমেদ বলেন, বরাবরের মতো এবারের কোরবানির ঈদেও ব্যাপক বিক্রি হচ্ছে ওয়ালটনের ফ্রিজ। বিশেষ করে ওয়ালটনের ডিপ ফ্রিজ বা চেস্ট ফ্রিজার বেশি বিক্রি হচ্ছে। সারা বছর যে পরিমাণ ফ্রিজ বিক্রি হয়, তার প্রায় ৬০ ভাগই বিক্রি হয় ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায়। এরই মধ্যে আমরা ফ্রিজ বিক্রির লক্ষ্য অতিক্রম করেছি। ওয়ালটন ফ্রিজ দামে সাশ্রয়ী, মানে সেরা।
তিনি বলেন, এবারের ঈদবাজারে ওয়ালটনের রয়েছে ৫০ লিটার থেকে ৬৪৬ লিটার ধারণক্ষমতার ২৫০টিরও বেশি সর্বাধুনিক মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার। এসেছে সর্বাধুনিক ফিচার ও ডোরসমৃদ্ধ অর্ধশতাধিক নতুন মডেলের ফ্রিজ। এছাড়াও আছে ব্যাপক বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ২২টি মডেলের ডিপ ফ্রিজ বা ফ্রিজার। এসব ফ্রিজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির অত্যাধুনিক ফিচার ও বৈচিত্র্যময় ডিজাইনের এআইওটিবেজড স্মার্ট সাইড বাই সাইড, গ্লাস ডোর, বিএসটিআইর সর্বোচ্চ ফাইভ স্টার এনার্জি রেটিং সনদপ্রাপ্ত ফ্রস্ট ও নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ। ক্রেতারা ওয়ালটনের এসব ফ্রিজ ১৭ হাজার থেকে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকার মধ্যে কিনতে পারছেন। ওয়ালটন ফ্রিজের গ্রাহকরা এক বছরের রিপ্লেসমেন্টের পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি পাচ্ছেন।
জানতে চাইলে ওয়ালটনের রামপুরা শোরুমের ম্যানোজার শাহরিয়ার সিটি নিউজ ঢাকাকে বলেন, ঈদ সামনে রেখে আমাদের বেশ কিছু নতুন ডিজাইন উন্মোচন করা হয়েছে। কোরবানিতে ডিপ ফ্রিজের চাহিদা বেড়ে যায়। সারা দেশে আমাদের ৬০০ প্লাজা রয়েছে। কোরবানি উপলক্ষ্যে আমার শোরুমের যে টার্গেট তার বেশি প্রত্যাশা করছি।
বিএস/