• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

বিদ্যুৎ-জ্বালানি-ডলার সংকটে কমেছে রপ্তানি

প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২৩, ০৩:০৫ এএম

বিদ্যুৎ-জ্বালানি-ডলার সংকটে কমেছে রপ্তানি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের শিল্পখাতে বিদ্যুৎ-জ্বালানি ও ডলার সংকটে রপ্তানি কমছে। সমস্যাগুলো সমাধান করা গেলে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব। রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে এসব সমস্যা সমাধানে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

রোববার (২৫ জুন) রাজধানীর প্যান প্যাসেফিক সোনারগাঁও হোটেলে ২০২১ সালে রপ্তানি খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সিআইপি (রপ্তানি ও বাণিজ্য) কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তারা। অনুষ্ঠানে  প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, এখন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কারখানাগুলোতে গ্যাস দিতে হবে। অন্যথায় রপ্তানি কমে যেতে পারে। কারণ এরইমধ্যে রপ্তানি কিছুটা কমেছে। সমস্যাগুলো সমাধান করা গেলে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।

এফবিসিসিআই সভাপতি জানান, আমরা ২০২৬ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। তবে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও ডলার সংকটের কারণে দেশে শিল্পায়ন কমেছে। এক সময় অবশ্য অবকাঠামো না থাকার কারণে ব্যবসা সম্প্রসারণ হচ্ছিল না। সরকার বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল করেছে তাতে সমস্যার কিছু সমাধান হয়েছে। জ্বালানির দাম আন্তর্জাতিকমান অনুসরণ করে করা হচ্ছে দাবি করলেও, আমাদের দেশের কারখানাগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা কম।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে দেশে অনেক কর্মসংস্থান হয়েছে। দেশ দারিদ্র্যসীমা থেকে উত্তোরণের জন্য ব্যবসায়ীদের অবদান অনেক। ব্যবসায়ীদের চেষ্টা, ত্যাগ, একাগ্রতার ফলে দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। এই চেষ্টা অব্যাহত থাকলে আগামীতে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বাড়বে। রপ্তানি খাতে প্রবৃদ্ধি আসবে।

সিআইপিদের পক্ষ থেকে আকিজ জুট মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান শেখ নাসির উদ্দিন বলেন, দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে আমি সিআইপি। এটা বড় একটা অর্জন। তবে এটা পেতে অনেক পরিশ্রম, অনেক ত্যাগও করতে হয়েছে। ব্যবসায়ী হলে অনেক সমস্যা থাকে, তবে সিআইপি হওয়ার মাধ্যমে আমিসহ আমার পরিবারের সদস্যরা কিছু সুবিধা পেয়ে থাকি।

তিনি বলেন, সিআইপি কার্ডধারী হওয়ায় বিমানবন্দরসহ বেশকিছু জায়গায় অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এতে কিছুটা ঝামেলাহীন চলাচল করা যায়। এখন বছরে ২ বিলিয়নের মতো পাট রপ্তানি হচ্ছে। এটা কীভাবে ৫ বা ১০ বিলিয়নে নিয়ে যাওয়া যায় সেই চেষ্টায় আছি। সারা দেশের পাটের ব্যবসার ৪০ শতাংশই আকিজের দখলে। আমরা পাট দিয়ে কোর্টের মতো পণ্য তৈরি করছি। আগামীতে জুতা তৈরির পরিকল্পনা চলছে।

বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ব্যবসা সহজ করার বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাতে ব্যবসা-বাণিজ্যে অগ্রগতি দৃশ্যমান। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করার জন্য। আপনাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে দেশের রপ্তানি গতিশীল থাকবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

২০২১ সালের জন্য দেশের রপ্তানি খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ১৮০ ব্যবসায়ীকে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সিআইপি হিসেবে নির্বাচিত করেছে সরকার। এই ব্যক্তিরা বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য পাস ও গাড়ির স্টিকার পাবেন। এ ছাড়া জাতীয় অনুষ্ঠান ও নাগরিক সংবর্ধনায় দাওয়াত, ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে ভ্রমণের সময় বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার ও বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। এছাড়া সিআইপিরা তাদের স্ত্রী, সন্তান ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে বিশেষ সুবিধা পাবেন। বিদেশভ্রমণের ক্ষেত্রেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের জন্য ‘লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন’দেবে।

 

বিএস/

অর্থ ও বাণিজ্য সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ