প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৩, ০২:০১ এএম
প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ, তাই শুধুমাত্র ঢাকাতেই নয় বরং সমগ্র বাংলাদেশের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রযুক্তির ব্যবহার, অর্থায়ন এবং পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটির (পিপিপি) সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি।
শনিবার (২৪ জুন) রাজধানীর রেডিসন হোটেলের বল রুমে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং সুপার প্রজেক্টে কনসোর্টিয়াম যৌথভাবে আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম সিম্পোজিয়ামে বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগদান করেন।
এছাড়াও এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)’র নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান এ অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ক্রমশই ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দিকে ধাবিত হচ্ছে এবং সম্ভাবনাময় অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ, তাই শুধুমাত্র ঢাকাতেই নয় বরং সমগ্র বাংলাদেশের ঝুঁকি মোকাবেলায় একটি সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা জরুরি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের তৈরি পোশাক খাতে বিশ্বমানের কমপ্লায়েন্স অনুসরণ করা হচ্ছে এবং শিল্পের অন্যান্য খাতেও এ ধরনের কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা জরুরি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে প্রায় ৪০০ স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে, যারা যে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করবে এবং সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মোকাবিলায় প্রশিক্ষণ প্রদান ও ড্রিলের উপর অধিক হারে মনোনিবেশ করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, জনজীবন ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে শিল্প-কারখানা, অফিস-আদালত ও বসত বাড়ি প্রভৃতি ক্ষেত্রে ফায়ার ড্রিল বাস্তবায়ন এবং বিশেষ করে ঢাকা শহরে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্যোগ প্রতিরোধ বিদ্যুৎ, পানি সহ অন্যান্য সেবা সংযোগের ম্যাপিং খুবই জরুরি।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার বলেন, শিল্পখাত আমাদের অর্থনীতির প্রাণ, তাই অর্থনীতির টেকসই উন্নয়নের বৃহত্তর স্বার্থে শিল্পের পাশাপাশি জনজীবনে যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় কার্যকর সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ ও এর বাস্তবায়ন একান্ত অপরিহার্য।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)’র নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, জীবনের সঙ্গে ঝুঁকি ওতপ্রোতভাবে জড়িত, তাই যেকোনো ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকার ও বেসরকারি খাতের সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়নের কোনো বিকল্প নেই।
বিএস/