• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

আফতাবনগরে এখনো জমেনি হাট, ক্রেতার অপেক্ষায় ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৩, ০৯:০৮ পিএম

আফতাবনগরে এখনো জমেনি হাট, ক্রেতার অপেক্ষায় ব্যবসায়ীরা

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীর আফতাবনগরে বসেছে অস্থায়ী পশুর হাট। আফতাবনগরের লোহার ব্রিজ থেকে বটতলা হয়ে তালতলা পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার সড়ক জুড়ে এই হাটের অবস্থান। এরইমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিক্রির জন্য কোরবানির পশু নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া এখনো পর্যায়ক্রমে পশু নিয়ে নিয়ে হাটে আসছেন তারা। এদিকে ঈদ ঘনিয়ে এলেও পুরোপুরি জমে ওঠেনি এখানকার হাট। এখনো বাকি আছে হাটের টুকটাক কিছু কাজ।

শুক্রবার (২৩ জুন) সকালে সরেজমিনে আফতাবনগর হাটে গিয়ে দেখা গেছে, বাড্ডা থেকে রামপুরা ব্রিজে যাওয়ার আগে হাতের বাম পাশে আফতাবনগরে প্রবেশের পথ। সেখান বড় করে টাঙানো আছে হাটের তোরণ। সেখানে লেখা আছে— ‘বিরাট গরু-ছাগলের হাট’। কিছু সময় পরপরই তোরণের নীচ দিয়ে হাটের উদ্দেশে ট্রাকভর্তি গরু ঢুকছে।

এখান থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার পেরিয়ে দেখা মিলল হাটের প্রথম অংশ। হাটের এই অংশে এখনও বেশিরভাগ জায়গা ফাঁকা। এখানে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ করছে হাট কমিটির লোকজন। পুরো সড়কজুড়ে লাগানো হয়েছে বৈদ্যুতিক বাতি। আরেকটু এগিয়ে বটতলায় গিয়ে দেখা মিলল কোরবানির পশুর হাটের। এখানে গরু রাখার জন্য জায়গা তৈরি করছেন অনেক ব্যবসায়ী। পশুগুলো সারিবদ্ধভাবে রাখতে নীচু জায়গায় মাটি ভরাট করে বাঁধা হয়েছে বাঁশের খুঁটি। এছাড়া আগেভাগে জায়গা দখল করে বড় ঘর বানাতে দেখা গেছে খামারিদের।

dhakapost

মূলত হাট এলাকার প্রায় ৬০ শতাংশ অংশজুড়ে কোরবানির পশু নিয়ে ক্রেতার জন্য অপেক্ষা করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এখনো তেমন ক্রেতার দেখা পাচ্ছেন না তারা। তাদের মতে, গত বছরের তুলনায় এবার হাটে পশুর সংখ্যা কম মনে হয়েছে। হয়ত আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে হাট জমে উঠবে।

হাটে এখন পর্যন্ত যারা এসেছেন তাদের বেশিরভাগ পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও যশোর এলাকার ব্যবসায়ী। এদের কেউ কেউ সময়মতো গরুকে গোসল করাচ্ছেন, খাবার দিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ নিজেদের জন্য খাবার রান্নার কাজটিও করছেন। কেউ গরুর সঙ্গে নিজেও ঘুমিয়ে গিয়েছেন, আবার কেউ মেতে উঠেছেন তাস খেলায়। তবে হাটে তেমন কোনো ক্রেতাকে চোখে পড়েনি এই প্রতিবেদকের। কেউ কেউ পশুর দাম জানতে চাচ্ছিলেন মাত্র।

dhakapost

সোমবার (১৯ জুন) কুষ্টিয়া থেকে ১৩টি গরু নিয়ে আফতাবনগর হাটে এসেছেন ব্যবসায়ী আনিসুর। তিনি সিটি নিউজ ঢাকাকে বলেন, আমার কাছে থাকা সবকটি গরুই ২ লাখ টাকার বেশি। এখন পর্যন্ত ২টি গরু বিক্রি করেছি। এখন অতটা ক্রেতা নেই। যারা আসেন তারা ১ লাখ ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ ৮০ টাকা দাম বলেন। ঈদের ২/৩ দিন আগে হয়ত ভালো বিক্রি হবে। আর বিক্রি হোক বা না হোক, ঈদের আগের রাতে বাড়ি চলে যাব।

নাটোর থেকে ১৩টি গরু নিয়ে এসেছেন মোক্তার হোসেন। এ বছর বিক্রির জন্য নিজ হাতে গরুগুলো লালন-পালন করেছেন তিনি। সিটি নিউজ ঢাকাকে তিনি বলেন, আমার কাছে থাকা গরুগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন দাম ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ দাম ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ক্রেতারা ১ লাখ ৪০ হাজার থেকে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকাচ্ছে। তবে এখনও দামে পোষায়নি বলে একটি গরুও বিক্রি করতে পারিনি।

dhakapost

তিনি আরও বলেন, আমি গত বছরও এখানে হাট করেছি। সে তুলনায় এবার গরুর সংখ্যা কম মনে হয়েছে। আশা করি কয়েক দিনের মধ্যে সব জায়গা কোরবানির পশুতে ভরে যাবে।

এদিকে হাটকে কেন্দ্র করে লোহার ব্রিজ থেকে তালতলা পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। রাস্তার পাশের খালি জায়গায় ভাতের হোটেল বসিয়েছেন ছোট ছোট দোকানিরা। কেউ আবার ভাজাপোড়ার দোকান বসিয়েছেন, কেউ সরবতের, কেউবা চায়ের।

 

জেকেএস/

অর্থ ও বাণিজ্য সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ