• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

চিনির বাজার মনিটরিংয়ে ভোক্তা অধিকারকে নির্দেশ বাণিজ্যমন্ত্রীর

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৩, ১০:০৪ পিএম

চিনির বাজার মনিটরিংয়ে ভোক্তা অধিকারকে নির্দেশ বাণিজ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্ধারিত মূল্যে বাজারে চিনি বিক্রি করা হচ্ছে কি না, তা মনিটরিং করতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বাংলাদেশ আয়ুর্বেদিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববাজারে চিনির দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি খরচ বেশি হচ্ছে। যার প্রভাব আমাদের দেশেও পড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য ট্যারিফ কমিশনকে বলা হয়েছে।’
 
ঈদের আগে দাম বাড়ানো বা কমানো নিয়ে আর বসার সুযোগ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, যেহেতু চিনি আমদানিতে কিছুটা খরচ বাড়ছে, সেহেতু ঈদের পর চিনির দাম কিছুটা বাড়তে পারে। তখন দাম সমন্বয় করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, 
‘এখনই চিনির দাম বাড়াতে চাই না। ভোক্তা অধিকারকে বলব, তারা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবে৷ কেউ ঈদের আগে অতিরিক্ত দামে চিনি বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, চিনির ওপর যে শুল্কহার নির্ধারণ করা আছে, তা কমানো অথবা ছাড় দেয়ার বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) অনুরোধ করা হবে। এটা করা হলে চিনির দাম কিছুটা কমানো সম্ভব হবে।


এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম কমানোর সঙ্গে সঙ্গে দেশের বাজারে দাম কমিয়ে দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, হ্রাসকৃত মূল্যে তেল বিক্রি করা হচ্ছে। সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য সাধারণ মানুষের নাগালে রাখার জন্য প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে যেসব পণ্য আমদানি করতে হয়, সেসব পণ্যের মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে বাজারে বিক্রি করতে হয়।

এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে চিনি ও ভোজ্যতেলের চাহিদার বিপরীতে প্রায় পুরোটাই আমদানি করতে হয়। এই দুই পণ্যের দাম ওঠানামা করে। কারণ, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে দেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়ে।
 
এর আগে সেমিনারে আয়ুর্বেদ নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা প্রয়োজন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। তা ছাড়া এটি নিয়ে গবেষণা করারও প্রয়োজন রয়েছে।’

আয়ুর্বেদ ব্যবহারে আমাদের অ্যান্টিবায়োটিক নির্ভরতা কমবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

দেশের বৈদেশিক মুদ্রায় একটি পরিবর্তন আসার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ যখন আয়ুর্বেদ খেতে শুরু করবে, তখন দেশের বাইরেও এ ধরনের ওষুধ বা কাঁচামাল রফতানি করা যাবে। তবে সবার আগে গবেষণা করে তা প্রচার করে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। মানুষের কাছে এসবের উপকারিতা পৌঁছাতে হবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রহিম খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, বাংলাদেশ ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক বোর্ডের সদস্য আ.খ. মাহবুবুর রহমান সাকী প্রমুখ।


এডিএস/

আর্কাইভ