• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

নাটোরে পাঁচ বছরে বন্ধ হয়েছে ২৫০ হাস্কিং রাইস মিল

প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৩, ১০:৩৩ পিএম

নাটোরে পাঁচ বছরে বন্ধ হয়েছে ২৫০ হাস্কিং রাইস মিল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পুঁজি সংকটে পাঁচ বছরে বন্ধ হয়ে গেছে নাটোরের ৬৪ শতাংশ হাস্কিং রাইস মিল। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবং ঋণবৈষম্যের কারণে অটো রাইস মিলের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না মিলগুলো।

নাটোর জেলায় ৩৮৯টি হাস্কিং রাইস মিলের মধ্যে গত পাঁচ বছরে বন্ধ হয়ে গেছে ২৫০টি। শতাধিক হাস্কিং রাইস মিল চালু থাকলেও পুঁজি সংকট ও জেলার ২২টি অটো রাইস মিলের দাপটে চালু থাকা হাস্কিং মিলগুলোর অবস্থাও নাজুক।

এক হাসকিং রাইস মিলের মালিক রেকাত আলী জানান, শিল্প ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অটো রাইস মিলগুলো ২ থেকে ৪ শতাংশ সুদে শতকোটি টাকার ওপরে ঋণ পেয়েছে। বিপরীতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো হাস্কিং রাইস মিলে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা ঋণ দিলেও সুদ নেয় ৯ শতাংশ হারে। পাশাপাশি মিলে উৎপাদন খরচও বেশি। এ কারণে অটোমিলের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছেন না তারা।

বন্ধ হয়ে যাওয়া এক রাইস মিলের মালিক আব্দুর রহিম বলেন, পুঁজি বেশি থাকায় অটো রাইস মিলগুলো চালের বাজারগুলোতে বাকিতে চাল বিক্রি করছে। আর হাস্কিং রাইস মিল বাকিতে চাল বিক্রি করতে গিয়ে পুঁজি হারিয়ে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না।

 


এদিকে সরকারি খাদ্যগুদামে হাস্কিং রাইস মিলগুলো চাল বিক্রি করে নগদ টাকা পেলেও বর্তমানে উৎপাদন খরচের চেয়ে সেখানে দাম কম। ফলে নগদ টাকায় বিক্রির সুযোগ না থাকায় টাকার অভাবে কম পুঁজির হাস্কিং রাইস মিল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

ফলে বন্ধ হওয়ায় হাস্কিং মিলগুলো চালু করতে ঋণবৈষম্য নিরসনের দাবি নাটোর চেম্বারের। নাটোর চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন, পুঁজি সংকটের কারণে হাস্কিং রাইস মিলগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকে কর্মহীন হচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে যাওয়া হাস্কিং রাইস মিলগুলো চালু করতে স্বল্পসুদে ঋণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, ২৫০ হাস্কিং রাইস মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।


এডিএস/

আর্কাইভ