প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২৩, ০৭:৪৯ পিএম
পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে যশোরে পশুর সরবরাহ বাড়লেও বেচাকেনা তেমন জমে ওঠেনি। খামারি ও ব্যাপারীরা বলছেন, এ বছর গরু পালনে খরচ বাড়লেও আশানুরূপ দাম বলছেন না ক্রেতারা।
যশোরের শার্শা উপজেলার সাতমাইল জেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলার ব্যাপারী ও স্থানীয় লোকজন সপ্তাহে শনি ও মঙ্গলবার এ হাটে গরু বেচাকেনা করেন। কোরবানি সামনে রেখে এ হাটে প্রচুর গরুর সরবরাহ হয়েছে।
শনিবার (১৭ জুন) সরেজমিনে দেখা গেছে, হাটে সারিবদ্ধভাবে বিভিন্ন জাতের গরু রাখা হয়েছে। সুঠামদেহী এসব গরু ক্রেতারা পছন্দ করলেও বিক্রির মতো দাম বলছেন না।
খামারি ও ব্যাপারীরা বলছেন, বেচাকেনা একেবারেই কম। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকলেও আশানুরূপ দাম বলছেন না ক্রেতারা। এতে তারা লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছেন।
এক খামারি বলেন, গো খাদ্যের দাম বেশি। কিন্তু ক্রেতারা যে দাম বলছেন, তাতে করে প্রতি গরুতে দেখা যাচ্ছে ২০ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে।
পশু বিক্রি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে আরেক খামারি বলেন, হাটে হাজার হাজার কোরবানির পশু রয়েছে। হাজার হাজার ক্রেতাও রয়েছে। কিন্তু তারপরও পশু বিক্রি হচ্ছে না।
এদিকে বেচাকেনা না থাকায় সাতমাইল গরু হাট ইজারাদার আবু তালেব হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ঈদের আগে আর তিনটি হাট আছে। বিক্রি না বাড়লে বড় ধরনের লোকসানের শিকার হতে হবে।
তবে ক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় প্রতিটি গরুর দাম অন্তত ২৫ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা বেশি হাঁকা হচ্ছে। ফলে সাধ্য না থাকায় তারা দাম বলতে পারছে না।
দাম বেশি থাকায় গরু কিনতে না পারা এক ক্রেতা বলেন, আমরা আমাদের বাজেট অনুসারে গরু পাচ্ছি না। গরুর দাম অনেক বেশি। তাই পুরোটা সময়ে হাটে ঘুরেই যাচ্ছে।
আরেকজন ক্রেতা বলেন, এ পর্যন্ত ৫টি গরু কিনেছি। আশা করছি, ১০টি কিনব। কিন্তু দাম অনেক বেশি।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার সাতমাইল গরুর হাটে ১৫ হাজার গরু উঠেছে।
এডিএস/