প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২৩, ০৯:৫০ পিএম
কোরবানির ঈদ এলেই মসলা ভাঙানোর দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় থাকলেও চলতি বছর দেখা নেই চিরচেনা সেই রূপের। ভোক্তারা এখন মসলা ভাঙানোর চেয়ে প্যাকেটজাত মসলার দিকেই বেশি ঝুঁকছেন বলে দাবি হলুদ-মরিচ ভাঙানোর মিল মালিকদের।
শনিবার (১৭ জুন) সরজমিনে কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ও পুরান ঢাকার শ্যামবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
কোরবানি ঈদের বাকি আর মাত্র দুই সপ্তাহ। প্রতিবছর এ সময়ে মসলা ভাঙানোর মিলগুলোতে ব্যস্ততা থাকলেও; এবার এখনও বাড়েনি তেমন চাপ। অলস সময় পার করছেন মিল মালিকরা।
তারা বলেন, বাজারে সব ধরনের মসলার দাম বাড়তি। এ ছাড়া মসলা ভাঙাতে আলাদা খরচ রয়েছে। এসব বিবেচনায় এখন মানুষ মসলা ভাঙানোর চেয়ে রেডিমেট মসলা ব্যবহারকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে।
কেরানীগঞ্জের জিনজিরা বাজারের মিল মালিক আরিফ বলেন,
‘গত বছর যে পরিমাণ চাপ ছিল; তার ছিটেফোটাও নেই এবার। কাঁচা মসলার দাম বাড়তি, তবে প্যাকেটজাত মসলার দাম কম হওয়ায় ও পরিমাণে কম কিনতে পারায় কাস্টমারার সেদিকে ঝুঁকছে।’
তবে চাঁদরাতের আগে মসলা ভাঙানোর চাপ কিছুটা বাড়বে বলে জানান আরিফ।
হলুদ-মরিচ ভাঙাতে আসা জামিল খান নামে এক ভোক্তা বলেন, ভাঙানো মসলার স্বাদ অন্যরকম। যেটা প্যাকেটজাত মসলায় পাওয়া যায় না। তবে এতে খরচ পড়ে বেশি। তাও ঈদ উপলক্ষে মসলা ভাঙাতে এসেছি। গত বছর প্রতিকেজি মসলা ভাঙাতে ৪০ টাকা লাগলেও; এবার সেটি ৫০ টাকায় পৌঁছেছে।’
আনোয়ার আলী নামে আরেক ভোক্তা জানান,
‘এখন ৫০ থেকে ১০০ টাকা দিয়ে প্যাকেটজাত মসলা কিনতে পাওয়া যায়। ভাঙানোর খরচ নেই, ঝামেলা নেই। যখন খুশি তখন দোকান থেকে কিনে নিয়ে রান্না করা যায়। তবে ভাঙানো মসলার স্বাদই অন্যরকম।’
কাঁচা মসলার বাজারদর জানতে রাজধানীর শ্যামবাজারের আড়তগুলো ঘুরে দেখা যায়, হলুদ, শুকনা মরিচ ও ধনিয়ার দাম কিছুটা বাড়তি।
বিক্রেতারা জানান, প্রত্যেক কোরবানির ঈদের আগেই মসলার দাম কিছুটা বাড়ে। এবারও তাই হয়েছে। কিছু মসলার দাম বেড়েছে। আবার অনেক মসলার দাম তেমন একটা বাড়েনি। কিছু কিছু মসলার দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
শ্যামবাজারের শেরে বাংলা বাণিজ্যলয়ের মালিক আহসানুল গাজী জানান, বাজারে প্রকারভেদে প্রতিকেজি ধনিয়া ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, শুকনা মরিচ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ও হুলুদ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ২৩০ টাকায়। গত মাসের তুলনায় কিছুৃটা বেড়েছে এসব মসলার দাম।
আর শ্যামবাজারের দীঘিরপাড় বাণিজ্যালয়ের মালিক ইব্রাহিম বলেন, মসলার দাম বাড়ায় বেচাবিক্রি নেই। মানুষ এখন প্যাকেটজাত মসলা ব্যবহার করে। তবে ঈদের আগে চাহিদা বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে ঈদ উপলক্ষে মহল্লার মুদি দোকানেও হলুদ, মরিচ, ধনিয়া, জিরা, গরম মসলার চাহিদা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
এডিএস/