প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২৩, ০২:২৩ এএম
আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার জন্য নতুন নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ (ডিএফআইএম) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সুশাসন নিশ্চিতকরণ, স্বচ্ছতার সঙ্গে যোগ্য, সৎ ও দক্ষ মানবসম্পদ নিয়োগ ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সম্পাদনের লক্ষ্যে সাধারণভাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের যে কোন স্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ, পদোন্নতি ও সার্বিক মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা থাকতে হবে; যা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ অনুমোদন করবে।
এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও পরিপালন বিভাগের প্রধান, ঋণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা ও কোম্পানি সচিব পদগুলোর যথাযথ গুরুত্ব বিবেচনায় বর্ণিত পদগুলোর যোগ্যতা ও উপযুক্ততা নির্ধারণের জন্য পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদিত নীতিমালা থাকতে হবে বলেও জানানো হয়। পাশাপাশি এ সকল পদে নিয়োগের জন্য প্রাপ্ত আবেদন মূল্যায়নের লক্ষ্যে পরিচালনা পর্ষদ অনুমোদিত মূল্যায়ন প্রক্রিয়া থাকতে হবে।
এ ছাড়া কোন ব্যক্তি একইসঙ্গে একাধিক পদে বহাল থাকতে পারবেন না ও পদগুলোর দায়িত্ব ও কর্তব্য সুস্পষ্টভাবে প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ নীতিমালায় অর্ন্তভুক্ত করতে হবে বলে জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও পরিপালন বিভাগের প্রধান, ঋণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা ও কোম্পানি সচিব হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পূর্ণাঙ্গ জীবন বৃত্তান্ত নিয়োগ দেয়ার ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগে পাঠাতে হবে। পাশাপাশি পদগুলো থেকে কোন কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দিতে হলে ন্যূনতম এক মাস আগে বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করতে হবে।
এ ছাড়া নিয়োগপ্রাপ্ত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র সঠিক কিনা যাচাই করে নথিতে সংরক্ষণ করতে হবে বলে জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নির্দেশনায় বলা হয়, সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর হালনাগাদ ব্যক্তিগত যোগাযোগের ঠিকানা ও মোবাইল ফোন নম্বর প্রতিষ্ঠানের নথিতে সংরক্ষণ করতে হবে। আর যে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র এ নীতিমালা জারি হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে যাচাই করে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর ব্যক্তিগত নথি হালনাগাদ করতে হবে।
এ নীতিমালা পরিপালনার্থে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনা পর্ষদের সভা আহ্বান করবে ও পরিপালনের অগ্রগতি ২ মাসের মধ্যে ডিএফআইএমকে অবহিত করতে হবে। এ ছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ এর ১৮(ছ) ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে; যা অবিলম্বে কার্যকর হবে জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
জেকেএস/