• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১

ঈদের আগে আরও কমবে ভোজ্যতেলের দাম: বাণিজ্য সচিব

প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২৩, ১০:৩২ পিএম

ঈদের আগে আরও কমবে ভোজ্যতেলের দাম: বাণিজ্য সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে সর্বোচ্চ ১০ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ঈদের আগে তেলের দাম আরেক দফা কমানো সম্ভব বলেও জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

রোববার (১১ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনাবিষয়ক টাস্কফোর্সের সপ্তম সভা শেষে এ কথা জানান তিনি।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আজ (রোবার) থেকে ভোজ্যতেলের দাম কমানোর জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দু-তিন দিনের মধ্যে নতুন দামের তেল বাজারে পাওয়া যাবে। সার্বিক দিক বিবেচনা করে ঈদের আগে তেলের দাম আরও কমানো যায় কি না, সেটিও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি আসন্ন ঈদের আগে আর এক দফা দাম কমানো সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
 
তিনি আরও জানান, এখন থেকে প্রতি লিটার প্যাকেটজাত সয়াবিন তেল ১০ টাকা কমিয়ে ১৮৯ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ৯ টাকা কমিয়ে ১৬৭ টাকা ও পাম অয়েলের দাম ১৩৫ টাকা থেকে ২ টাকা কমিয়ে খুচরা পর্যায়ে ১৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়ার পরপরই বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে জানিয়ে সিনিয়র সচিব আরও বলেন, এ পর্যন্ত পাঁচ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ৩০ হাজার মেট্রিক টন দেশে এসেছে। অনুমোদন প্রাপ্ত বাকি পেঁয়াজ দেশে এলে দাম আরও কমবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত এক বছরে চাহিদা বিবেচনায় দেশে চিনি, গম ও আদা চাড়া অন্য কোনো পণ্যে সরবরাহে ঘাটতি নেই। ঈদুল আজহায় যেসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে, সেগুলোর দাম স্থিতিশীল রাখা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অন্যান্য পণ্যের দামও স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে কথা হয়েছে। চীন থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় দেশে আদার সংকট আছে। সমাধানের চেষ্টা চলছে।

তপন কান্তি ঘোষ জানান, দেশে এক বছরে ব্যবধানে গম আমদানি ২৪ লাখ টন ও চিনি আমদানি কমেছে ৭২ হাজার টন। আমদানি কম হওয়ায় দামে প্রভাব পড়েছে বাজারে। দেশে চিনির চাহিদার প্রায় পুরোটাই আমদানিনির্ভর। এ জন্য আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দাম নির্ধারণ করতে হয়। বেশ কিছুদিন ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম স্থির রয়েছে।
 
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলেই সঙ্গে সঙ্গে দেশে সেই পণ্যের দাম কমানো সম্ভব হয় না। কারণ, আমদানি পণ্যের ক্ষেত্রে ডলারের দাম একটা বড় ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া শুল্কহার ও অভ্যন্তরীণ পরিবহন ব্যয় মূল্য নির্ধারণে প্রতিফলন ঘটে।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক ও এফবিসিসিআইসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।


এডিএস/

অর্থ ও বাণিজ্য সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ