প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২৩, ০২:২৭ এএম
সাংসারিক জীবনে পা রাখার শুরু থেকেই নিজেদের মনের মতো ঘর সাজানোর স্বপ্ন থাকে নতুন দম্পতির মনে। এবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে নতুন সংসার সাজাতে শূন্য শতাংশ সুদে ইকুয়েটেড মান্থলি ইনস্টলমেন্ট (ইএমআই) সুবিধা দিচ্ছে হাতিল।
ছেলেবেলার পুতুল খেলার ছলে প্রত্যেকেই বেড়ে ওঠে সংসারজ্ঞান নিয়ে। ঘরের বড়দের অনুকরণে পুতুলের ঘর সাজাতে সাজাতে মনের ভেতর গড়ে ওঠে নিজের সংসার সাজানোর স্বপ্ন। সাংসারিক জীবনে পা রাখার শুরু থেকেই তাই মনের মতো ঘর সাজানোর শখটা পূরণ করার ইচ্ছা জাগে। তবে বাজেট ও প্রয়োজনমাফিক জিনিসপত্র কেনার ফাঁকে শখের জিনিসগুলো কিনতে গিয়ে অনেক সময় হিমশিম খেতে হয়। তাই ঘর গোছানোর আগে সংসারের পরিমাপটা আন্দাজ করাটা জরুরি।
দুজনের সংসার গোছানোর ক্ষেত্রে সবার আগে গুরুত্বপূর্ণ হলো বেডরুমের সাজ। কেননা, নতুন সংসারে তুলনামূলক অতিথি আপ্যায়ন কম হয়ে থাকে। এ ছাড়াও ব্যস্ত দিনশেষে বিশ্রামের জন্যও পরিপাটি একটি বেডরুমের প্রয়োজন হয়। তাই সবার আগে বেডরুম গুছিয়ে ফেলা উচিত। বাকি রুমগুলো সাজানোর প্রথম উপকরণটি হতে পারে ফার্নিচার। ফার্নিচার একটি দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের মতো। এই খাতে ব্যয় করার সময় তাই এমন ফার্নিচার খোঁজা উচিত, যা দীর্ঘদিন থাকবে টেকসই, আকর্ষণীয় ও সময়োপযোগী।
বেডরুমের পরে নিজেদের লাইফস্টাইল অনুযায়ী ঘরের বাকি রুমগুলো পালাক্রমে এমনভাবে সাজিয়ে নিতে হবে যাতে আর্থিকভাবে চাপে পড়তে না হয়। এ জন্য ঈদুল আজহা ২০২৩ উপলক্ষে নতুন সংসার সাজাতে হাতিল দিচ্ছে ১২ মাসব্যাপী শূন্য শতাংশ সুদে ইএমআই সুবিধা।
বেডরুম ও অন্যান্য ঘর সাজনোর পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান হলো রান্নাঘর। সংসারকে পরিপাটি রাখতে স্পেস অনুযায়ী রান্নাঘর ডিজাইন করতে হবে। তাই পরিবারের প্রয়োজন বুঝে রান্নাঘরের সাজসজ্জা হওয়া চাই মানানসই।
তবে রান্নাঘর ডেকোরেশনের ক্ষেত্রে গৃহিণীর পছন্দ ও প্রয়োজনটাই সবার আগে। গৃহিণী কেমন রান্নাঘরে কাজ করবেন, তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা কেমন তার ওপরই রান্নাঘরের মাপ নির্ভর করে। যদি পরিবারের সদস্যসংখ্যা বেশি হয়, তবে রন্ধন সামগ্রী ও উপকরণের মাপ ও পরিমাণও বেশি হয়ে থাকে। আর যদি ছোট সংসার হয়, তবে রান্নাঘরের মাপের চেয়ে সেটি কেমন করে ডেকোরেট করা উচিত তা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
তবে বর্তমান যুগে বসতযোগ্য জমির স্বল্পতা থাকায় অনুমোদিত বাড়ি এবং ফ্ল্যাটের রান্নাঘরগুলো চাইলেই মনমতো ছোট-বড় মাপে তৈরি করা যায় না। তাই স্বল্প পরিসরেই স্মার্ট ডেকোরেশনের মাধ্যমে বড়-ছোট যেকোনো সংসারের প্রয়োজন বুঝে রান্নাঘর সাজানো সম্ভব।
রান্নাঘর ডেকোরেশনের ক্ষেত্রে আরেকটি লক্ষণীয় বিষয় হলো ডেকোরেশন ম্যাটেরিয়ালের স্থায়িত্বতা। কারণ, রান্নাঘরের কাজ মানেই তাপ, পানি, তৈলাক্ততা; যা সহজেই রান্নাঘরের ডেকোরেশনগুলোর কাঠ, রং এবং বার্নিশ নষ্ট করে ফেলে। তাই ডেকোরেশনের সময় অবশ্যই এমন ম্যাটেরিয়াল পছন্দ করা উচিত, যা হবে মানসম্পন্ন ও উন্নত প্রযুক্তিতে তৈরি।
এডিএস/