• ঢাকা বুধবার
    ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১

হিলিতে পেঁয়াজের কেজি ৪০ টাকা

প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২৩, ০১:৩০ এএম

হিলিতে পেঁয়াজের কেজি ৪০ টাকা

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বাজারে পেঁয়াজের উর্ধ্বমুখী দামের লাগাম টানতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। যার প্রভাবে কমছে পেঁয়াজের দর। দুই/এক দিন আগে হিলি বাজারে ৮০ টাকা থেকে ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ বর্তমানে খুচরা বাজারে ৩৭ টাকা থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

পেঁয়াজ উৎপাদন করে কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষায় বিগত ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বা আইপি বন্ধ রাখে সরকার। এরপর থেকে টানা ৮২ দিন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। এরপর থেকেই বাড়তে থাকে মসলাজাতীয় এ পণ্যের দাম।

রমজানের ঈদের আগেও যে পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, তা বাড়তে বাড়তে গিয়ে ঠেকে ৮০ টাকা থেকে ৮৫ টাকায়।

তবে ভোক্তাদের স্বার্থরক্ষায় পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। রোববার (৪ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, সোমবার (৫ জুন) থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হবে।

পেঁয়াজ আমদানির খবরেই হিলি বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের দাম প্রায় ১৫ টাকা কমে ৭০ টাকা থেকে ৭৫ টাকায় নেমে আসে।

হিলি কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পাবার প্রথম দিন অর্থাৎ সোমবার (৫ জুন) বিকেলে ভারতীয় তিনটি ট্রাকে মোট ৬৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে আসে। মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুর পর্যন্ত বন্দরটি দিয়ে কোনো ধরনের পণ্য আমদানি না হলেও, দুপুরের পর সারিবদ্ধ ভারতীয় ট্রাকে পেঁয়াজ, আদা, রসুন ও ডালসহ বিভিন্ন পণ্য বন্দরে প্রবেশ করে। এদিন বিকেল পর্যন্ত ভারতীয় ৩৩টি ট্রাকে প্রায় ১ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে আসে।

এদিন বিকেলে হিলি পানামা পোর্ট লিংক ঘুরে দেখা যায়, বন্দরে সারিবদ্ধভাবে পেঁয়াজ বোঝাই ভারতীয় ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। এসব ট্রাকে ভারত থেকে আমদানি করা নাসিক, ইন্দ্রো ও মধ্য প্রদেশের পেঁয়াজ এসেছে। বন্দর থেকে এসব পেঁয়াজ কিনতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকার ও ব্যবসায়ীরা ট্রাকের আশেপাশে ভিড় করছেন। তারা আমদানিকারক এবং তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পেঁয়াজের দরদাম করতে ব্যস্ত।

পাইকারি বাজারে এসব পেঁয়াজ মানভেদে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। যা খুচরা বাজারে ৩৭ থেকে ৪৩ টাকায় বিক্রি হবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

গাজীপুর থেকে পেঁয়াজ কিনতে এসেছেন তৌফিক হাসান নামে এক ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, ‘আমি দেশের বিভিন্ন জেলায় ভারতীয় পেঁয়াজ সরবরাহ করি। টানা প্রায় ৩ মাস পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ ছিল। দীর্ঘদিন পর আজ হিলি বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে এসেছি। ৪ ট্রাক পেঁয়াজ কিনব। দরদাম করছি।’

পেঁয়াজ আমদানিকারক আবুল হাসানাত বলেন, ‘যথাসময়ে সরকার পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। পাইকার ও ব্যবসায়ীদের উপস্থিতিতে মুখর হয়ে উঠেছে পুরো বন্দর।’

এদিকে পেঁয়াজ আমদানি বিষয়ে হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর-রশিদ বলেন, ‘আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। সরকারের অনুমতি পাবার পরপরেই আমরা ব্যাংকগুলো থেকে এলসি (ঋণপত্র) নেয়া শুরু করেছি। অনুমতি পাবার দ্বিতীয় দিনে প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আরও অনেক পেঁয়াজ আমদানির হবার অপেক্ষায় আছে।’

পেঁয়াজের দাম অর্ধেকে নেমে আসার আশা প্রকাশ করেন তিনি।

 

জেকেএস/

অর্থ ও বাণিজ্য সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ