প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২৩, ০২:৪৮ এএম
ভারত ও বাংলাদেশে কয়লা, চুনাপাথরসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি-রপ্তানির সুবিধা থাকা সত্ত্বেও চালু হয়নি সুনামগঞ্জের ডলুরা শুল্ক স্টেশন। স্থানীয়দের দাবি, শুল্ক স্টেশনটি চালু হলে কর্মসংস্থান হবে হাজার হাজার মানুষের। সরকার পাবে বিপুল রাজস্ব।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ডলুরা এলাকা থেকে পাশের দেশ ভারতের দূরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার। ডলুরা সীমান্ত থেকে আধা কিলোমিটার দূরে চলতি নদী। এতে স্থলপথের পাশাপাশি নদী পথেও সারা বছর স্বল্প খরচে পণ্য পরিবহনের সুযোগ রয়েছে। এসব সুবিধার কথা মাথা রেখে ১৯৯৯ সালে পরীক্ষামূলকভাবে এক বছরের জন্য শুল্ক বন্দর চালু করতে দুই দেশের আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হয়।
তবে ভারতীয় অংশে অবকঠামো সুবিধার অভাবে সেবছর পণ্য আমদানি করা যায়নি। পরবর্তীকালে উভয় দেশ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি করলেও দীর্ঘ দুই যুগেও চালু হয়নি শুল্ক স্টেশনটি।
ডলুরায় শুল্ক স্টেশন হলে মেঘালয়ের ভালো মানের পাথর, চুনাপাথর কম খরচে বাংলাদেশে আমদানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি বাংলাদেশে তৈরি প্লাস্টিক সামগ্রি, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মাছ ও সবজি রপ্তানি করা সম্ভব হবে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ শুল্ক স্টেশনটি চালু হলে মানুষ কাজ পাবে। এতে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এ ছাড়া রাজস্বও অনেক হবে।
তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে শুল্ক স্টেশনটি দ্রুত চালুর আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী।
সিটি নিউজ ঢাকাকে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কাস্টমস সিলেট বিভাগকে চিঠি দেয়া হয়েছে। আশা করি, সব কিছু যাচাই করে উপযুক্ত হলে তারা এটি চালু করবে।
জেলা সদর থেকে ডলুরা শুল্ক স্টেশনের দূরত্ব ৮ কিলোমিটার।
জেকেএস/