প্রকাশিত: জুন ৩, ২০২৩, ১০:২০ পিএম
তীব্র গরমে পাল্লা দিয়ে লোডশেডিং বাড়ায় নাকাল জনজীবন। একদিকে জ্বালানি সংকট, আরেকদিকে রক্ষণাবেক্ষণের কারণে দেশে বন্ধ প্রায় ৩০টি বিদ্যুৎকেন্দ্র। এতে ২৫ হাজার মেগাওয়াট সক্ষমতা থাকলেও ১৬ থেকে ১৭ হাজার মেগাওয়াটের চাহিদা মেটাতেই হিমশিম অবস্থা বিদ্যুৎ বিভাগের।
বাইরে দাবদাহ। ঘরে অসহনীয় লোডশেডিং। দুইয়ে মিলে নাকাল জনজীবন। এতে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সবারই অবস্থা করুণ। গ্রাহকরা জানান, এক ঘণ্টা পরপর বিদ্যুৎ যাচ্ছে। তীব্র গরমের পাশাপাশি লোডশেডিংয়ের কারণে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে।
বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার মূল শর্ত পর্যাপ্ত জ্বালানির সংস্থান নিশ্চিত করা। তবে জ্যৈষ্ঠের গরমে ঘরে-বাইরে যখন এমন নাজেহাল পরিস্থিতি, তখন বিদ্যুৎখাত নিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে নানা প্রশ্ন। দেশে বিদ্যুৎ সক্ষমতার ৪৭ শতাংশই গ্যাসনির্ভর হলেও, চাহিদার বিপরীতে অর্ধেক জোগান দিতে পারছে পেট্রোবাংলা। ফলে গ্যাস সংকট আর রক্ষণাবেক্ষণের কারণে বন্ধ দেশের প্রায় ৩০টি বিদ্যুৎকেন্দ্র।
আর এসব কারণেই ২৫ হাজার মেগাওয়াট সক্ষমতা থাকলেও ১৬ থেকে ১৭ হাজারের চাহিদা মেটাতেই হিমশিম খাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এতে দিনে লোডশেডিং করতে হচ্ছে দেড় থেকে ২ হাজার মেগাওয়াট। তবে সামনে অপেক্ষা করছে আরও খারাপ সময়। কয়লা সংকটে ধুঁকতে থাকা পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দু-এক দিনের মধ্যে, যা চালু হতে অপেক্ষায় থাকতে হবে মাসখানেক।
এডিএস/