• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা

প্রকাশিত: মে ৩১, ২০২৩, ০৩:০১ এএম

মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কাজে অর্থয়ান প্রতিরোধে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য নতুন নীতিমালা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

মঙ্গলবার (২০ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।

এতে বলা হয়, ‘মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়ন প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক মানদন্ড, দেশে বিদ্যমান আইন, বিধিমালা ও বিএফআইইউয়ের জারি করা নির্দেশনাগুলোর সমন্বয়ে প্রতিটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের একটি নিজস্ব নীতিমালা থাকবে; যা তাদের পরিচালনা পর্ষদ বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ ব্যবস্থাপনা কমিটি অনুমোদন করবে। পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায়শই নীতিমালাটি পর্যালোচনা করে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশোধন বা পরিমার্জন করবে।’

এছাড়া মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়ন প্রতিরোধে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে প্রতিটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ, সর্বোচ্চ নির্বাহী এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়ন প্রতিরোধে উপর্যুক্ত আইন ও বিধিমালায় বর্ণিত তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্যের আলোকে প্রাতিষ্ঠানিক পরিপালন ব্যবস্থা জোরদার করার বিষয়ে সচেষ্ট থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও জানায়, ‘আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীকে বার্ষিক ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়ন প্রতিরোধে  ‍সুস্পষ্ট ও কার্যকর অঙ্গীকার ঘোষণা করার পাশাপাশি অঙ্গীকার বাস্তবায়নে যথাযথ নির্দেশনা প্রদান ও পরিপালনীয় বিষয়ে সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে হবে।’

আর প্রতিটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে একজন ’ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার’ নেতৃত্বে প্রধান কার্যালয়ে একটি ‘কেন্দ্রীয় পরিপালন ইউনিট’ প্রতিষ্ঠা করারও নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ছাড়া মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়ন প্রতিরোধে বিদ্যমান আইন, বিধিমালা, বিএফআইইউ এর নির্দেশনা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য কেন্দ্রীয় পরিপালন ইউনিট আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি শাখায় একজন অভিজ্ঞ শাখা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তা মনোনীত করতে হবে।

মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ ও সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এবং আইন দুইটির আওতায় জারি করা বিধিমালার সংশ্লিষ্ট বিধানাবলি পরিপালনে বাংলাদেশে কার্যরত সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুসরণীয় নিম্নবর্ণিত নির্দেশনাগুলো মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ২৩ (১)(ঘ) ও সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এর ১৫(১)(ঘ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা বলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

 

জেকেএস/

আর্কাইভ