প্রকাশিত: মে ৩০, ২০২৩, ০৫:২৮ পিএম
বেড়েছে ব্যয়, কমেছে আয়। কিছুটা স্বস্তি পেতে আগামী বাজেটে ব্যক্তি আয়করমুক্ত সীমা ৫ লাখ টাকা করার দাবি করদাতাদের। আর এ দাবি যৌক্তিক বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে আসন্ন অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, লক্ষ্য পূরণে নীতিনির্ধারক পর্যায়ে প্রয়োজন দক্ষ জনবল। সম্প্রতি এক বিশ্লেষণে এসব মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদরা।
চলতি অর্থবছর ব্যক্তি আয়করমুক্ত সীমা সর্বনিম্ন তিন লাখ টাকা। কিন্তু চলমান জীবনযাত্রার ব্যয় কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বিপাকে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ। এমন অবস্থায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আয়কর সীমা কতটা বাড়ানো হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন সাধারণ করদাতাদের। আসন্ন বাজেটে ৫০ হাজার টাকা বাড়ানোর পরিকল্পনা থাকলেও দাবি রয়েছে ৩ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করার।
এক করদাতা বলেন, বর্তমানে যেখানে জীবন চালানোই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেখানে আয়করের সীমা যদি ৫ লাখ থাকে, তাহলে মোটামুটিভাবে বলা যায় সাধারণ মানুষের স্বস্তির জায়গাটা বাড়বে।
এদিকে ব্যক্তি আয় বিবেচনায় নিয়ে করমুক্ত সীমা বাড়ানো হলে করজাল থেকে বেরিয়ে যাবেন অনেকে। এ জন্য উচ্চ আয়ের করদাতাদের এ সুবিধার বাইরে রাখার পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ সম্প্রতি সিটি নিউজ ঢাকাকে বলেন, ‘এই তিন লাখ কিন্তু গত ৪ থেকে ৫ বছর চলেছে সেটা ঠিক আছে। সুতরাং তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শোনা যাচ্ছে, আমি আশা করি, বাজেটে নতুন ঘোষণা থাকবে, বাড়বে; হয়তো চারের দিকে যাবে। আয়কর সীমা বৃদ্ধি করা যৌক্তিক।’
এদিকে চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছর ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহে টার্গেট দেয়া হয়েছে এনবিআরকে। গত অর্থবছরের মতো শুল্ক-কর আদায়ে ঘাটতি অব্যাহত থাকলে লক্ষ্য পূরণে চাপে পড়বে এনবিআর।
অর্থনীতিবিদ ড. জালাল উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, রাজস্ব খাতে প্রয়োজন দক্ষ ব্যবস্থাপনা। এখানে প্রফেশনাল দিয়ে চালাতে হবে।
জেকেএস/