• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

দেশে প্রথমবারের মতো দেয়া হচ্ছে ‘জাতীয় চা পুরস্কার’

প্রকাশিত: মে ২২, ২০২৩, ১০:১১ পিএম

দেশে প্রথমবারের মতো দেয়া হচ্ছে ‘জাতীয় চা পুরস্কার’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের চা শিল্পের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ চা বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় চা পুরস্কার’ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। আট ক্যাটাগরিতে সাতটি প্রতিষ্ঠান ও একটি ব্যক্তি পর্যায়ে এ পুরস্কার দেয়া হবে।

সোমবার (২২ মে) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় চা দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে ১ম ‘জাতীয় চা পুরস্কার’ দেয়ার লক্ষে যাচাই-বাছাই কমিটির সভায় এসব কথা জানান তিনি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের চা শিল্পের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ চা বোর্ড এবং এর অংশীজন হিসেবে চা বাগান মালিক, চা উৎপাদনকারী ও প্যাকেজিং বিপণন কোম্পানিসহ চা শিল্পে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন তাদের স্ব স্ব কর্মকান্ডের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছেন। এসব প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন ও ব্যক্তির অবদানকে স্বীকৃতি দিতে ও চা শিল্পের অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান ও অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে জাতীয় চা পুরস্কার দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
 
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চা বাগান মালিক, শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এবছর জাতীয় চা দিবসের অনুষ্ঠান উদযাপন করার বিষয়ে সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে অনুষ্ঠানে ‘জাতীয় চা পুরস্কার’ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

যে আটটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়া হবে-

১) একর প্রতি সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী চা বাগান

২) সর্বোচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদনকারী বাগান

৩) শ্রেষ্ঠ চা রফতানিকারক

৪) শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রায়তন চা উৎপাদনকারী

৫) শ্রমিক কল্যাণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা বাগান

৬) বৈচিত্রময় চা পণ্য বাজারজাতকরণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি

৭) দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্পন্ন চা মোড়কের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি

৮) শ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারী (ব্যক্তি/শ্রমিক)


এ সময় সরকারের নানাবিধ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ফলে চা শিল্প আজ টেকসই ও মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন, গুণগতমানের চা উৎপাদন বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রযুক্তি উদ্ভাবনে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা কার্যক্রম জোরদারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
 
এ ছাড়া চায়ের বহুমুখী ব্যবহার বৃদ্ধি, বিপণন প্রক্রিয়ায় আধুনিকায়ন ও সর্বোপরি অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি চায়ের নতুন বাজার সৃষ্টির প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, বাংলাদেশ চা বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪ জুন বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যানের পদ অলংকৃত করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে দেশের চা শিল্পে অসামান্য অবদান রাখেন। চা শিল্পে জাতির পিতার অবদানকে অবিস্মরণীয় করে রাখতে প্রতি বছর ৪ জুন জাতীয় চা দিবস পালন করা হয়।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা।


এডিএস/

অর্থ ও বাণিজ্য সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ