• ঢাকা শুক্রবার
    ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

পাস হলো নতুন অর্থবছরের বাজেট

প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২১, ০৫:১৮ পিএম

পাস হলো নতুন অর্থবছরের বাজেট

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় সংসদে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেট পাস হয়েছে। বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ।

বুধবার (৩০ জুন) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের অধিবেশনে এ বিল পাস হয়। এ সময় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহম্মদ কাদের উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হলে ২০২১-২০২২ সালের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের উপর আনীত ছাটাই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সর্বপ্রথম এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জন্য বরাদ্দ প্রস্তাব উত্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব উত্থাপন করেন অন্য মন্ত্রীরা। কণ্ঠভোটে সেসব প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।

পরবর্তীতে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল নির্দিষ্টকরণ বিল ২০২১ জাতীয় সংসদে পাস করার জন্য উত্থাপন করেন। উত্থাপনের পর কন্ঠভোটে বাজেট সর্বসম্মতভাবে পাস হয়। এ সময় অর্থমন্ত্রীকে টেবিল চাপড়িয়ে অভিনন্দন জানান সংসদে উপস্থিত সদস্যরা।

গত ৩ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আগামী ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। ‘জীবন-জীবিকায় প্রাধান্য দিয়ে সুদৃঢ় আগামীর পথে বাংলাদেশ’ এ শিরোনামে এবারের বাজেট উপস্থাপিত হয়।

নতুন অর্থবছরের জন্য সংসদে পাশ হওয়া বাজেটে ঘাটতি রয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি মোকাবিলায় বৈদেশিক অর্থায়ন থেকে ঋণ নেয়া হবে ১ লাখ ১ হাজার ২২৮ কোটি টাকা। আর অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণ নেয়া হবে ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংকিং খাত থেকে নেয়া হবে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক বহির্ভূত খাত থেকে ৩৭ হাজার ১ কোটি টাকা যোগাড় করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। বাজেট ঘাটতির এই হার জিডিপির ৬ দশমিক ২ শতাংশ।

রাজস্ব আদায়কে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবিত এ বাজেটে। তিনি সব প্রকার বিলাসী পণ্য, বিশেষ করে আমদানি করা বিদেশি পণ্যের উপর ট্যাক্স ধার্য করেছেন। 

এ ছাড়াও বাড়ির নকশা অনুমোদন করতে কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) বাধ্যতামূলক করেছেন। ফলে শহরে বা গ্রামে যেকোনো জায়গায় বাড়ি করতে হলে টিআইএন নিতে হবে। এতে বাড়ির মালিক করের আওতায় আসবেন। এ ছাড়া যেকোনো সমবায় সমিতির নিবন্ধনের ক্ষেত্রেও টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

ইফাত/নির্জন
আর্কাইভ