প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২৩, ০২:৪৯ এএম
ভারত মহাসাগরের আশপাশের দেশগুলোর মধ্যে একটি সহযোগিতামূলক সাপ্লাই চেইন গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, শক্তিশালী আঞ্চলিক ভ্যালু চেইন পারস্পরিক সুবিধা অর্জনে সহায়তা করবে।
শুক্রবার (১২ মে) ঢাকায় ষষ্ঠ ভারত মহাসাগর সম্মেলন উপলক্ষে ‘ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অর্থনৈতিকভাবে টেকসই ভবিষ্যতের জন্য পথনকশা’ শিরোনামে আয়োজিত এক অধিবেশনে এ কথা বলেন তিনি।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘আঞ্চলিক ভ্যালু চেইন সক্ষমতা ও শক্তির পরিপূরক হবে। এছাড়া দেশগুলোকে একসঙ্গে বিকশিত হতে সহায়তা করবে।’
বিশ্বায়নের এই যুগে শক্তিশালী আঞ্চলিক ভ্যালু চেইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘পশ্চিমা বিশ্বে উন্নত দেশগুলো জোট গঠন করছে। পাশাপাশি পারস্পরিকভাবে লাভবান হচ্ছে। এখনই সময় আমাদের শক্তি ভাগ করে নেয়ার।’
এ সময় দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য জ্ঞান ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের ওপর গুরুত্বারোপ করেন বিজিএমইএ সভাপতি। তিনি বলেন, এটি পরস্পরকে সংশ্লিষ্ট খাতে প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়নের জন্য এই অঞ্চলের মধ্যে জ্ঞান, দক্ষতা এবং প্রযুক্তির বিনিময় অপরিহার্য উল্লেখ করে ফারুক হাসান বলেন, ‘আমাদের অঞ্চলের দেশগুলোর প্রত্যেকেরই কিছু কিছু ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট দক্ষতা রয়েছে এবং আমরা সেই দৃষ্টিকোণ থেকে একে অপরকে সাহায্য করতে পারি।’
এ সময় ভারতের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্য অংশীদার। দুই দেশের পারস্পরিক বাণিজ্য সম্ভাবনা অন্বেষণ করার মতো পর্যাপ্ত সহযোগিতার ক্ষেত্র রয়েছে।
সভাপতি আরও বলেন, ভারত আপস্ট্রিম সেগমেন্টে বিশেষজ্ঞ, সিল্ক, তুলা, সুতা ও ফেব্রিক্সের মতো কাঁচামাল বাংলাদেশে সরবরাহ করে। অন্যদিকে বাংলাদেশ সরবরাহ করে ডাউনস্ট্রিম ফাইনাল অ্যাপারেল সেগমেন্টে বিশেষজ্ঞ। তাই সহযোগিতার মাধ্যমে পারস্পরিক বাণিজ্য সুবিধা পাওয়া যায়।
জেকেএস/